এক ট্যাকেলে লিভারপুলকে পেনাল্টি উপহার দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও ইনজুরিতে পড়েছেন এডারসন মোয়ারেস। লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির শেষ ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিটও খেলা হয়নি এডারসনের। অস্বস্তিতে পড়ে মাঠ ছেড়ে গিয়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। ফলে মার্চে ব্রাজিলের দুই আন্তর্জাতিক ম্যাচেও দেখা যাবে না তাকে।
চোটের কারণে ব্রাজিলের প্রথম গোলরক্ষক আলিসন বেকার আগে থেকেই ছিলেন না। লিভারপুলে খেলা এই গোলরক্ষক এখন আছেন পুনর্বাসনে। ব্রাজিল এবার হারিয়ে ফেলল এডারসনকেও। বাধ্য হয়েই তার বদলি ডাকতে হয়েছে ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়রকে।
বদলি হিসেবে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র দলে ডেকেছেন ভাস্কো দা গামার লিও জারদিমকে। ২৮ বছর বয়েসী এই গোলরক্ষক ব্রাজিলিয়ান লিগে নিয়মিত খেলেছেন। ফ্রেঞ্চ ক্লাব লিলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। জারদিম ছাড়াও ব্রাজিল দলে গোলকিপার হিসেবে আছেন অ্যাথলেটিকো পারানায়েন্সের বেন্তো ও সাও পাওলোর রাফায়েল।
গোলরক্ষক ছাড়াও বেশ কিছু পজিশনেই ইনজুরি সমস্যা আছে ব্রাজিলের। চোটের কারণে ব্রাজিলের প্রীতি ম্যাচের দল থেকে ছিটকে গেছেন পিএসজির মার্কিনিওস ও আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিও। মার্কিনিওসের পরিবর্তে ফ্লামেঙ্গোর লেফট ব্যাক ফাবরিসিও ব্রুনো ও মার্তিনেল্লির জায়গায় পোর্তোর স্ট্রাইকার গালেনোকে ডেকেছেন দরিভাল।
মার্চের ২৩ ও ২৬ তারিখে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ২৩ মার্চ ওয়েম্বলিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার তিন দিন পর মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে স্পেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল।
প্রীতিম্যাচের জন্য ঘোষিত ব্রাজিল দল
গোলকিপার: লিও জারদিম, রাফায়েল, বেন্তো।
ডিফেন্ডার: দানিলো, ইয়ান কুতো, ওয়েন্দেল, আইর্তন লুকাস, গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস, বেরালদো, মুরিলো, ফ্যাবরিজিও ব্রুনো ।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে, ব্রুনো গিমারেস, কাসেমিরো, জোয়াও গোমেজ, লুকাস পাকেতা, ডগলাস লুইস, পাবলো মাইয়া, আন্দ্রেয়াস পেরেইরা।
ফরোয়ার্ড: এনদ্রিক, রদ্রিগো, গালেনো, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রিচার্লিসন, রাফিনিয়া, সাভিনিও।