চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসী জনপদ নামে খ্যাত শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মরদানায় এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ককটেল বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। এঘটনায় উভয় গ্রুপের ৬জনকে আটক করা হয়েছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের তাৎক্ষনিক নাম পরিচয় দেয়নি পুলিশ।
এলাকাবাসী ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টা হতে সাড়ে ৮ বা ৯টা পর্যন্ত পৌর এলাকা মরদানা গ্রামের আইয়ুব বাজারে প্রায় দেড় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। গত শুক্রবার একই সময়েই প্রায় ২৫/৩০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছিল। এলাকাবাসী আরও জানান, মরদানায় আব্দুস সালাম ও মৃত খাইরুল ইসলাম জেমের উত্তরসরীরা মাঝে মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে আসছে। আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি থেকে পলাতক থাকছে।
শিবগঞ্জ পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ড সদস্য আজম আলী জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’টি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মরদানার আইয়ুব বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছে। তবে, সাবেক কাউন্সির খাইরুল ইসলাম জেমের মৃত্যুর পর ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল ৭টায় শুরু করে প্রায় ৯ টা পর্যন্ত দেড় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। আমি জানতে পেরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর ককটেল বিস্ফোরণ বন্ধ রয়েছে। তিনি আরো জানান, গত শুক্রবার সকাল ৭টার দিকেও প্রায় ৩০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি।
এঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে, তারা কোন গ্রুপের সদস্য তা তাৎক্ষনিক বলা যাবে না। আটককৃতরা উভয় গ্রুপের সদস্য।
এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ওসি আরও জানান, সকালে আমরা ঘটনা স্থলে পৌঁছানোর আগে প্রায় ৪০টি ককটের বিস্ফোরণ হয়েছে। কেউ হতাহত হয়নি। এখানে স্থানীয় দু’টি গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত এধরনের ঘটনা ঘটে আসছে বলে
ধারণা করা হচ্ছে।