গত বছর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ের টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার কথা ছিল সাবিনাদের। আর্থিক কারণে বাফুফে সেই সময় সাবিনাদের মিয়ানমার পাঠায়নি। এবার সেই বাফুফেই ফিফা উইন্ডো কাজে লাগাতে মিয়ানমারে দু’টি প্রীতি ম্যাচ খেলতে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। সব কিছু চূড়ান্ত হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন মিয়ানমার সফরে নিরুৎসাহিত করায় আবারও বাতিল করেছে সফর।
মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত সম্পর্ক উষ্ণ। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও উত্তপ্ত। এই দু’টি বিষয় বিচেনায় এনে সাবিনাদের সফর নিয়ে বাফুফে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার ফিরতি চিঠিতে এই মুহূর্তে বাফুফেকে মিয়ানমারে নারী দল প্রেরণে বারণ করে। সরকারের তরফ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সামগ্রিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে বাফূফে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমার ফুটবল ফেডারেশনকে জানিয়েছে না খেলার বিষয়টি।
মিয়ানমার সফর বাতিল হওয়ায় জাতীয় দলের ফুটবলাররা ছুটি পেয়েছেন। ঈদের ছুটি কাটিয়ে তারা ১৪ এপ্রিল আবার ক্যাম্পে ফিরবেন। এরপর অবশ্য তাদের ক্লাবের হয়ে লিগ খেলা রয়েছে। বাফুফে ভবনে লিগের দুই ক্লাবের খেলোয়াড়রা থাকলেও তখন তত্ত্ববধায়ন থাকবে মূলত ক্লাবেরই।
বাফুফে ভবনে থাকা ক্লাবের পক্ষে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের সমর্থন নিয়ে অভিযোগ ছিল বসুন্ধরা কিংসের। এবার সে রকম না হওয়ার অঙ্গীকার দিলেন বাফুফের নারী কমিটির চেয়ারম্যান, ‘জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ অবশ্যই প্রতি ম্যাচ দেখতে যাবে। এটা তাদের কাজের অংশই। কোনো দলকে সমর্থন বা পরামর্শ হবে না এবার।’