সিরাজগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই মালামাল ও চুরির নানান সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে বৃহৎ চুরির পরিকল্পনা ছিল তাদের।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিরাজগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম।
আটককৃতরা হলেন মাদারীপুর জেলার পুনিয়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন (৫২), ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে মো. আতিয়ার রহমান (৪০), গুরুয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ ব্যাপারীর ছেলে মো. রফিক ব্যাপারী (৩৭) ও ঝিনাইদহ জেলার বিত্তিরাণী নগর ঘোষপাড়ার মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে সাধন কুমার বিশ্বাস (৪৫)। এদের মধ্যে সাধন কুমার চোরাই মালামাল ক্রয় করতেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্টেশন রোডের আল হামড়া আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ওই ৪ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, শহরের বিভিন্ন বাসা ও দোকানে চুরি করার জন্য চোর দল ওই আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সিরাজগঞ্জ শহরের সুবিধাজনক বাসাবাড়িতে বা দোকান থেকে চুরি করার জন্য দলভুক্ত হয়ে অবস্থান করছিল। তাদেরকে যেন কেউ সন্দেহ না করে এ জন্য শহরের অনুন্নত মানের হোটেলে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে কক্ষ নিয়ে অবস্থান করে থাকে এবং চুরি করে বেড়ায়।
মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, তারা বগুড়ার একটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাড়িতেও চুরি করেছেন। তার হাত ঘড়ি ও অন্যত্র থেকে চুরি করা স্বর্ণের চেইনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও চোরাই কাজে ব্যবহৃত তালা ভাঙার চাইনিজ কাটার, হাতুড়ি, স্বর্ণালংকার মাপার ডিজিটাল স্কেল, নাট খোলার সেলাইসহ নানান প্রকার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে তাদের আরও অনেক চুরির পরিকল্পনা ছিল।
রেজওয়ানুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের ইতোমধ্যেই ঈদকে সামনে রেখে এমন সংঘবদ্ধ চোরদের ধরতে বিশেষ অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ২০ জনের মতো চোরকে ধরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক এই চারজনকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ সময় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম, পরিদর্শক (অপারেশন) সুমন কুমার দাস, উপ-পরিদর্শক ব্রজেশ্বর বর্মণসহ থানা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।