২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে খুঁজছেন ক্ষুব্ধ হিরো আলম। প্রার্থী হওয়ায় সে সময় তাকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জিতে প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন আরাফাত।
সেদিন তার ওপর হামলাকারীদের মোহাম্মদ আলী আরাফাতের লোক বলে দাবি করেছিলেন আলম। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমি ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রতিমন্ত্রী আরাফাতের নির্দেশে কিছু লোক আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। দায়িত্বরত পুলিশও আমার পাশে দাঁড়ায়নি। কোনো মতে বেঁচে ফিরেছিলাম। সেই বিচার আমি আজও পাইনি। এখন আমি আরাফাতকে খুঁজছি, তাকে পেলে ধরে মামলা করবো। সে আমার জেতা আসন ছিনতাই করেছে।’
সামনে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না জানতে চাইলে আলম বলেন, ‘আমি সব সময় জনগণের পাশে আছি, থাকবো। জনগণ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বলে, আমি করবো। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি বলে আমাকে অনেকবার মার খেতে হয়েছে। অনেকবার অসম্মানিত হতে হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাকে অকারণে ধরে নিয়ে গেছে। বারবার বিচার চেয়েছি, কিন্তু বিচার পাইনি। আশা করছি, এখন সব বিচার হবে। স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারবো।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন হিরো আলম। নৌকা প্রতীক নিয়ে আরাফাত পেয়েছিলেন ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট, এবং হিরো আলম পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে এই আসন। এই দুই প্রতীদ্বন্দ্বী ছাড়াও বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে ৮ প্রার্থী অংশ নিলেও উপনির্বাচনে ছিল না বিএনপির কোনো প্রার্থী।
নিজের কর্মকাণ্ড নিয়ে সব সময় সমালোচনার শিকার হন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। সিনেমা, গান, কিংবা রাজনীতির মাঠ, সবখানে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেছেন এই তরুণ। বিভিন্ন সময় ভারতীয় গণমাধ্যম তাকে নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। এতে তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। নতুন কাজ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘কলকাতায় দুটি সিনেমার শুটিং শেষ করে এসেছি। বাংলাদেশে যে সিনেমাগুলোর শুটিং করেছিলাম, শিগগিরই সেগুলো মুক্তির ব্যবস্থা করছি। এখন আপাতত কোনো কাজ করছি না।’
বেশ কয়েক বছর আগে ইউটিউবে গানের মডেল হয়ে আলোচনায় আসেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এক সময় সিনেমাতেও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। এরপর গান গেয়ে অনলাইনে বিদ্রুপের শিকার হন তিনি। তাতে দমে যাননি এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। এমনকি সাম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়েও গান করেছেন তিনি।