নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিটি কর্মীকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন। সেইসাথে দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সুবধাবাদিদের বিষয়েও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে মোহনপুর উপজেলা চত্বরে আয়োজিত পথসভায় আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরতে মঙ্গলবার মোহনপুরে গণসংযোগ করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। বিকেলে তিনি স্থানীয় বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীর মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি মোহনপুর উপজেলা সদরে শেষ হয়। পরে উপজেলা চত্বরে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আসাদুজ্জামান।
আসাদ বলেন, বর্তমান সরকার বিগত দেড় দশক ধরে যত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছে বিগত সময়ে কেউই তা করতে পারেনি। এটি সারা দেশের মানুষ জানে। বিএনপি জামায়াতও এই উন্নয়নের কথা জানে, কিন্তু তারা স্বিকার করে না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগমুহুর্তে তারা দেশজুড়ে নাশকতা সৃষ্টি করে মানুষকে ভয় দেখাতে চায়। কিন্তু এদেশের মানুষ তাদের এই কর্মকান্ডে ভয় পায় না। বরং ঘৃনাভরে তাদের এই অপকর্মকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী দিনে তারা আরো অনেক অপকর্মই করতে পারে। এজন্য দলীয় নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকার আহবান জানান আসাদ। সেই সাথে আওয়ামীলীগের ভেতরে থাকা সুবিধাবাদিদের বিষয়েও সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি। আসাদ বলেন, বিগত সময়ে বছরের পর বছর খোলস পরে অনেকেই সুবিধা ভোগ করেছে। তারা নিজেদের সুবিধা বুঝে যেকোন সময় খোলস বদলাতে পারে। আবার নিজেদের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদেও এরা চরম নির্যাতন করতে পিছপা হয় না। এদের বিষয়েও সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তবেই আগামী দিনে আবারো নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে।
আসাদ বলেন, আওয়ামীলীগের ত্যাগি নেতা কর্মীরা এখন আর নিরব থাকবে না। অন্যায়ভাবে কোন কর্মীকে হয়রানী করা হলে ছেড়ে কথা বলবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করা কোন কর্মী কারো চোখ রাঙ্গানীতে ভয় পায় না। বরং এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য তারা প্রস্তুত।
এসব কর্মসূচিতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক হোসেন ডাবলু, মোহনপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেবুব হাসান রাসেল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শরিফুল ইসলাম, মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক, সুলতান মাস্টার, প্রভাষক সাইদুর রহমান, আজাহার আলী, আবু হেনা, সাইদুর রহমান, গাফফার আলী, আজগর আলী, হেলাল উদ্দিন, জমশেদ আলী, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আলমগীর মোরশেদ রঞ্জু, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি বেলাল হোসেন সরকার, ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বকুল, মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন আলী, মোহনপুর উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মজিবর মাস্টার ও সাধারণ সম্পাদক মিলন মাস্টার, ধুইরল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আহসান হাবিব রনি, রিপন শেখ, হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাটাখালি পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মানিক আলী, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী, হরিয়ান যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দিন, পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারি ভুলু, বড়গাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক রহমান মাসুম, হুজুরিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কলাম মোস্তফা, হুজুরি পাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল রফিক, হজুরিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আবুল কাশেম, দামকুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বাবু আলি, হড়গ্রাম ইউনিয়ন আমি নেতা পিন্টু, হেলাল উদ্দিন, সাজাহান মেম্বার, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান বাদল ও সাধারণ সম্পাদক পান্না, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৬ নম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, রাজশাহী জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রফিকুজ্জামান রফিক, নওহাটা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেনসহ পবা ও মোহনপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।