সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতার দল, নিজেদের পকেট উন্নয়নের দল। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় নেই তো, লুটে পুটে হাওয়া ভবন করার সুযোগ নেই। হাওয়া ভবন ছাড়া বিএনপি টিকবে না। কারণ এই দল ক্ষমতা কেন্দ্রিক দল, মানুষের দল না। জনগণের দল আওয়ামী লীগ, ক্ষমতার দল বিএনপি। এটাই দুই দলের পার্থক্য।
তিনি বলেন, আজ বিএনপি ইফতার পার্টি করে, আর আওয়ামী লীগ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে। তারা (বিএনপি) ইফতার খাওয়ার পার্টি। আর আমরা (আওয়ামী লীগ) ইফতার দেওয়ার পার্টি। এ হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির পার্থক্য।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, এ সময় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কিছুটা কষ্টে আছে। যদিও ইদানীং বেশ কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের দাম কোথায় উঠে গিয়েছিল, আর তা এখন ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা মনে হয়, জিনিস-পত্রের দাম আরও কমবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে বিএনপি আবারও চিরাচরিত পাকিস্তানি কায়দায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। পাকিস্তানি আমল থেকে আমরা এই অপপ্রচার শুনছি। রাজনৈতিক ইস্যু যখন থাকে না, তখন আওয়ামী লীগ বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে একটাই ইস্যু নিয়ে আসে। আর এখন আবার ইস্যু নিয়ে আসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। সেটা হচ্ছে ভারত বিরোধিতা ইস্যু। ভারত বিদ্বেষের ইস্যু।
বিএনপিকে অবাক করা দল আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের এক নেতা বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পেছনে ভারত সহযোগিতা করেছে। আরেকজন বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে হবে। দুই ধরনের কথা। এই দলের নেতায় নেতায় মতের কোনো মিল নেই। হাফিজ বলেন এক কথা, মঈন খান বলেন এক কথা, আবার রিজভী বলেন আরেক কথা। আবার সিঙ্গাপুর থেকে ফখরুল সাহেব বলেন আরেক কথা। এই হচ্ছে তাদের অবস্থা।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন মিয়া প্রমুখ।