যেকোনো মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে থাক, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ
সোমবার (০৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নবীনগর, বাইপাইল, শ্রীপুর ও জিরানীবাজার বাস স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি বাস স্ট্যান্ডে হাজার হাজার ঘরে ফেরা মানুষের চাপ। যাত্রীর উপস্থিতি বেশি হওয়ায় উত্তরের প্রায় সব জেলার ভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণ। যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিয়েই যে যার মতো যাচ্ছেন গন্তব্যে। অভিযোগ করারও সময় নেই তাদের হাতে।
ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডে ভাড়ার তালিকা ঝুলিয়ে দিয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ঢাকা থেকে ছেড়ে বাসের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা। কিন্তু এই তালিকার থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছেন বাস চালক ও সহযোগীরা।
তালিকা অনুযায়ী ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ৩৭২ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হলেও নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা, বগুড়ার ৫৫৮ টাকার বর্তমান ভাড়া ১ হাজার, নাটোরের ভাড়া ৫৯৩ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে ১১০০, পাবনার ৬৪৬ টাকার পরিবর্তে চাওয়া হচ্ছে ১২০০ টাকা, নওগাঁর ভাড়া ৭০১ টাকার স্থানে ১২০০, রাজশাহী ৭১২ টাকার ভাড়া ১২০০, জয়পুরহাট ৭১২ টাকার ভাড়া ১২০০, রংপুর ৮৭৯ টাকার ভাড়া ১৬০০, দিনাজপুর ৯৪০ টাকার ভাড়া ১৮০০, লালমনিরহাট ৯৯৪ টাকার ভাড়া ১৫০০, কুড়িগ্রাম ১০০২ টাকার স্থানে ২০০০, নীলফামারী ১০১৬ টাকার ভাড়া ১৮০০ টাকা, ঠাকুরগাঁও ১০৯৫ টাকার স্থানে ২০০০ ও পঞ্চগড় ১২৩৫ টাকার ভাড়া ২০০০ টাকা চাচ্ছেন বাস চালক ও তার সহযোগীরা।
নীলফামারির যাত্রী রশিদুল ইসলাম বলেন, আমি সকালে উঠে পোশাক কারকানায় গেছি। দুপুরে ছুটি হয়েছে, দুপুরের পরে বাইপাইল বাস স্ট্যান্ডে এসেছি। বাস স্ট্যান্ডে এসে লোকাল গাড়িতে ভাড়া জানতে চাইলে ভাড়া চাচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ হাজার। সর্বশেষ ১৮০০ টাকা হলে নিয়ে যাবে বলে বাস চালকের সহযোগী নিশ্চিত করেছে। আমিও ওই গাড়িতেই যাচ্ছি। কারণ টিকিট করার সুযোগ এখন নাই। তাই বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে।
বাসের চালক আকরাম হোসেন বলেন, আমরা আজ আর কালই কয়েকটা টাকা ইনকাম করবো। দুই দিন ঈদ বোনাস নিচ্ছি যাত্রীদের কাছে। আমরা তো বছর জুড়ে যাত্রীদেরই সেবা করি। ঈদ বোনাস তো আমাদের প্রাপ্য। আমরা যা নিচ্ছি তাতে যাত্রীদের কোনো অভিযোগ নেই।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আইয়ুব আলী বাংলানিউজকে বলেন, যেখানে যা অভিযোগ আসছে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়া আমাদের ভ্রামম্যাণ আদালত সড়কে রয়েছে। যাত্রীরদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।