প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের পারিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেন ডাবলু ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হকের সমর্থকদের মধ্যে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে একজন ছুরিকাহত হলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পর ভোটকেন্দ্রের পূর্ব পাশে তালুকদার পারিলা মোড়ে অবস্থান নেন আনারস প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীসমর্থকরা। আর পশ্চিম দিকে তরফ পারিলা গ্রামে গিয়ে বসেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক ও তার সমর্থকরা। এ সময় খবর পেয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক সেখানে যান এবং সমর্থকদের সাথে নিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকেন।
তবে ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গোলাম রাব্বানী বলেন, কেন্দ্রের বাইরে কী হয়েছে, তা আমার জানা নেই। কেন্দ্রের ভেতর কিছু হয়নি।
অন্যদিকে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সিংহমারা, হাটরা, মহিশকুণ্ডি কেন্দ্রের বাইরে আনারস ও কাপ পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীসমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন। তবে এসব ঘটনার পরেও নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রায় প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনকে ঘিরে যে কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কেন্দ্রের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে আসা রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, তারা সকাল থেকেই এ দুই উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখছেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই নির্বাচন হচ্ছে। তবে কয়েকটি এলাকায় কিছু অতি উৎসাহী মানুষ গোলোযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমন্বয়ের মাধ্যমে ঘটনাগুলো প্রতিহত করছেন।