এক মাসেও সচল হয়নি বিআরটিএ’র কার্যক্রম। গত ১৮ জুলাই ও ১৯ জুলাই দুই দফা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যলয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে এখনো সেবা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে পরিক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম চালু করার কথা জানিয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।
মূলত কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিআরটিএয়ের প্রধান কার্যালয়ে নাশকতা ও ব্যপক ভাংচুর চালানো হয়। দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে অবকাঠামো, সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সার্ভার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতোটাই ভয়াবহ অবকাঠামো থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি সেক্টরই নতুন করে শুরু করতে হবে। ফলে সেবা মূলক কার্যক্রম ধাপে ধাপে চালু করার চিন্তাভাবনা করছে বিআরটিএ।
বর্তমানে বিআরটির সকল কার্যক্রম অনলাইন নির্ভর হওয়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স, তথ্য সংশোধন, মালিকানা পরিবর্তন, ইঞ্জিন পরিবর্তন, ফিটনেস সনদ, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট সহ সব কার্যক্রমই বন্ধ রয়েছে। এতে করে পুরাতন গাড়ীর মালিকরা চিন্তিত না হলেও গাড়ি ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশের রিকন্ডিশনড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশনড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
নতুন গাড়ীর নিবন্ধন বন্ধ থাকায় ব্যাংক লোন দেওয়া হচ্ছে না। এতে করে কমে গেছে গাড়ি বিক্রিও। সংগঠনটির দাবি তাদের দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকা। সেই হিসেবে গত তাদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে রিকন্ডিশনড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশনড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, যে কোন অরাজোক পরিস্থিতিতে পরিবহন ব্যবসায় ধস নামে। আমরা যারা গাড়ী আমদানীর সাথে জড়িত, আমাদের ক্ষয়ক্ষতি সেভাবে সামনে আসে না। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গাড়ি বিক্রি কিছুটা কমলেও এবার গাড়ি বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিআরটিএয়ের সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে। এতে করে গাড়ী ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো লোন দিতে আগ্রহী হচ্ছে না। কবে নাগান বিআরটিএ সেবা চালু হবে তাও নিদিষ্ট কোন তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। দিন যত গড়াচ্ছে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ তত বাড়ছে।
এ বিষয়ে বিআরটিএয়ের পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেছেন, আমরা চেষ্টা করছি যতদ্রুত সম্ভব কার্যক্রম শুরু করার। রোববার থেকে পরিক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে। আমরা এখন চেষ্টা করছি আগে সেবামূলক কার্যক্রম দ্রুত চালু করা। আর অবকাঠামোর যে ক্ষতি হয়েছে তা সারিয়ে উঠতে সময় লাগবে। আমরা সেই দিকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছি না।