রাজশাহী সংবাদ ডেস্ক
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’র জিম্মি ২৩ নাবিক-ক্রু’র পাশাপাশি জলদস্যুরাও এখন জাহাজের খাবারে ভাগ বসাচ্ছে। ফলে জাহাজের সংরক্ষিত খাদ্য ও পানীয় রসদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। এ অবস্থায় জাহাজটিতে আপাতত খাদ্য ও পানীয় রসদ পাঠানোর চেষ্টা করছে জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ।
এদিকে জলদস্যুদের নতুন আরেকটি দল জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আবার জাহাজটির অবস্থান পরিবর্তন করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা।
জাহাজটির মালিকপক্ষ বলেছে, জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের পাশাপাশি জলদস্যুরাও সংরক্ষিত পানি ও খাবার খাচ্ছে। কোনোভাবে জিম্মিদের কাছে খাবার ও পানি পৌঁছানো যায় কিনা সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, জাহাজটিতে এর নাবিক ও ক্রুদের জন্য ২৫ থেকে ২৭ দিনের খাবার ও পানি মজুত ছিল। কিন্তু বর্তমানে জিম্মি নাবিকদের পাশাপাশি জলদস্যুরা জাহাজে অবস্থান করছে। ফলে খাবার ও পানির চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া জাহাজে রান্না, গোসল ও পান করার জন্য বিশুদ্ধ পানি মজুত রাখা হয়। লোক বেশি থাকায় পানিও কমে আসছে।
কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজে যে খাবার ও পানি মজুত আছে সেগুলো জলদস্যুরাও ব্যবহার করছে। এ কারণে খাবার ও পানি কমে আসতে পারে বলে ধারণা করছি। খাবার সংকট যাতে তীব্র না হয় সে বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি আছে।
‘আমরা, জলদস্যুদের পক্ষ থেকে যোগাযোগের অপেক্ষা করছি। ওদের সঙ্গে যোগাযোগ হলেই কীভাবে জাহাজে খাবার ও পানি পাঠানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে। এখন যত দ্রুত দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে ততই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যাবে।’
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল থেকে দুই নটিকেল মাইল দূরে নোঙর করেছিল দস্যুরা। এরপর ওদের নতুন আরেকটি দল জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। কিন্তু শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাহাজটি আবার অবস্থান পাল্টাতে থাকে।
‘জলদস্যুদের কেউ আমাদের সঙ্গে এখনও মুক্তিপণের ব্যাপারে যোগাযোগ করেনি। তবে জিম্মি নাবিকরা সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।’