• ঢাকা, বাংলাদেশ শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

কারাফটকে মায়ের মরদেহ দেখলেন সাবেক এমপি আসাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সর্বশেষ: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫

রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের মা সালেহা বেগম (৮০) মারা গেছেন। মৃত মায়ের জানাজায় অংশ নেয়ার জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছিলেন তার পরিবার। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারনে তাকে মুক্তি দেয়া যায়নি। তবে, কারাফটকের সামনে মায়ের মরদেহ দেখার সুযোগ দেয়া হয়।
সম্প্রতি কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের রাজশাহী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গত বছরের অক্টোবর মাসে তিনি ঢাকায় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। ছাত্র আন্দোলনে হামলার একাধিক মামলার আসামী হিসেবে বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
তার মা সালেহা বেগম কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার বিকেলে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর বড় ছেলে আসাদুজ্জামানের প্যারোলে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা করেন। আসাদের স্বজনেরা জানান, নিরাপত্তার কারণে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তার প্রসঙ্গটি যখন উঠে তখন কারাফটকে দেখার ব্যবস্থা করার বিষয়টি আসে। এর পরই কারাফটকে মৃত মায়ের মুখ দেখার অনুমতি দেয়া হয়। সোমবার রাত আটটার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকের সামনে চারজন স্বজন সালেহা বেগমের মরদেহ নিয়ে যায়। এসময় সেখানে হাজির করা হয় আসাদুজ্জামানকে। কয়েক মিনিট সেখানে দাঁড়িয়ে মায়ের মুখ দেখেন। এর পরই তিনি আবারো কারাগারের ভেতরে চলে গেলে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মহিষবাথান গোরস্থান সংলগ্ন মসজিদে।
সেখানেই রাত সাড়ে ৯টায় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান কারা ফটকে মায়ের মরদেহ দেখার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান। তারা সাত ভাই–বোন। এর মধ্যে পাঁচ ভাই সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আসাদুজ্জামান কারাগারে। অন্য চারভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। সালেহা বেগমের তৃতীয় সন্তান আক্তারুজ্জামান কোনো রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত না। তিনি মায়ের মরদেহ দেখতে পেরেছেন।


আরো খবর