পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, ট্রেনটি যখন ঈশ্বরদীর কাছাকাছি এলাকায় তখন হঠাৎ ট্রেনের মধ্যে স্বর্ণা আক্তারের প্রসব ব্যথা শুরু হয়। ট্রেনের গার্ড তাপস কুমার দে ও অ্যাটেনডেন্ট ইমরান হোসেনের মাধ্যমে খবর পান গার্ড ইলিয়াস কবির সেলিম। তখন ট্রেনের মাইকে ঘোষণা দিয়ে কোনো চিকিৎসক থাকলে জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা চাওয়া হয়। ঘোষণা শুনেই এগিয়ে আসেন ট্রেনের যাত্রী হিসেবে থাকা ডা. নাজনীন আক্তার।
তিনি ‘ঙ’ বগিতে গেলে অন্য যাত্রীরা তাদের ব্যাগ থেকে কাপড় বের করে দেন। তা দিয়ে ঘিরে বগির ভেতরে ‘ওটি’ তৈরি করা হয়। এরপর ওই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ১০ মিনিটের মধ্যে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন স্বর্ণা আক্তার। ট্রেনটি দুপুরে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক নিজেই ছুটে যান উপহারসামগ্রী নিয়ে। তারপর রেলওয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে নবজাতক সন্তানসহ মাকে একটি ক্লিনিকে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
জি এম অসীম কুমার তালুকদার জানান, স্বর্ণাকে রাজশাহীতে একটি ক্লিনিকে আনা হচ্ছিল সন্তান প্রসবের জন্য। সঙ্গে কয়েকজন নারী ও তার দেবর ছিলেন। আসার পথে ট্রেনের ভেতর স্বর্ণা সন্তান প্রসব করেন। তারা যে ক্লিনিকে যেতেন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর পর অ্যাম্বুলেন্সে করে সেখানেই তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর চিকিৎসক জানিয়েছেন, মা ও নবজাতক সুস্থ আছেন। তিনি এজন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকসহ ওই ট্রেনের কর্মী ও যাত্রীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।