নির্বাচনে কারও কোনো প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, সংসদ সদস্যদের অনুরোধ জানিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও জানাবো, যাতে উপজেলা নির্বাচনে কোনো ধরণের প্রভাব বিস্তার না হয়। আর প্রশাসনকে আমি বলেছি যেন তারা বিনয়ের ব্যবহার করেন এবং শ্রদ্ধার সাথে কথা বলেন। তবে অনিয়ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ ও আইন প্রয়োগ শতভাগ। তাতে ছোট ছোট বিষয়ে কোনো ছাড় নয়। তারাও (প্রশাসনও) আমাকে আশ্বস্তও করেছে।
গণমাধ্যমের মুখ থেকে ভালো শুনলে অনুপ্রাণিত হন জানিয়ে আহসান হাবিব বলেন, ভালো করলে ভালো, খারাপ করলে খারাপ বিষয়গুলো মিডিয়ায় প্রচার করুন। চুরি করলে চোরকে চোর বলুন, তাতে যেই হোক। আমরা মিডিয়াতে দেখে অ্যাকশন নেব। সাংবাদিকদের সাথে কমিশন, র্যাব-পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ সকল প্রশাসন থাকবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। আপনারা সঠিক তথ্য উপস্থাপন করায়, সেই তথ্যকে প্রাধান্য দিয়ে অ্যাকশন নিয়েছি। আপনারা মাঠ পর্যায়ে আমাদের চোখ এবং কান হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। প্রশাসনের সবাই আপনাদের সম্পর্কে প্রশংসাও করেছে। স্বচ্ছতা, সততা ও সঠিকতার কোনো বিকল্প নেই, যা আপনারা প্রমাণ করেছেন বস্তুনিষ্ঠ সঠিক তথ্য পরিবেশন করে। আপনাদের বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপনের জন্য সবাই সতর্ক ছিলেন।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ভোটার কিন্তু প্রার্থীদেরই ভোট দিবে, সুতরাং ভোটারদের কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের। সর্বশেষ একটা নির্বাচনে পটুয়াখালীর আমতলীতে ইভিএমএ ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। একটা ভোটও জালিয়াতি হয়নি। প্রয়োজনে প্রচারের ব্যবস্থাও করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, অতীতের চেয়েও একমাত্রায় বেশি সুন্দর নির্বাচন চাই। তার থেকে যেন নিচে না নামি, সেভাবে প্রশাসন আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সবার সহযোগিতা ছাড়া একটি সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।