পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সেখানে (ট্যানারি) বিশেষ করে আমরা যেটা বলি, ক্রোমিয়ামের যে বিষয়টি আছে, যেটি ভারী ধাতু, যেটির কারণে ক্যানসার হয়, মানুষ মারা যায়, সেই ক্রোমিয়াম আমাদের ট্যানারি থেকে বের হয়ে আসছে। এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা এত বড় একটি পরিকল্পনা নিলাম, হাজারীবাগ থেকে স্থানান্তর করলাম। হাজারীবাগে যখন এটি ছিল, তখন আশপাশের নদীগুলো মরল। এখন সেটি যেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে, সেখানকার আশপাশের নদীগুলোকে শেষ করছি। কাজেই এখানে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আসা দরকার। আমরা তা করব।
ট্যানারির বর্জ্য বড় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, এতদিন শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে বলা হতো, সেখানে দূষণ হচ্ছে না। কিন্তু তারাও এখন বুঝতে পেরেছে, আমরা সেখানে গিয়ে দেখে এসেছি। আগে আমরা যখন এ নিয়ে বলতাম, তখন মনে হতো, আমরাই অপরাধী। কারণ পরিবেশ মানেই এসব কথা বলবে। কিন্তু এখন সমস্যা যে আছে, তা স্পষ্ট হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্জ্য থেকে আমরা যদি সার তৈরি করতে পারি, তাহলে প্রতি বছর আমরা যে পরিমাণ সার আমদানি করি, তা আমদানি না করে স্থানীয়ভাবে বর্জ্য থেকে তৈরি করতে পারব। একটি বিষয় হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সার্বিকভাবে সেটিকে কীভাবে উন্নত করা যায়, কার্যকর করা যায়, তা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আরেকটি হলো, আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে বর্জ্য ব্যবহার করতে পারি। এতে আমাদের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
সার আমদানি কমার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সার আমদানির যে স্পেসিফিকেশন আছে, সেটির সঙ্গে আমরা স্থানীয়ভাবে যা উৎপাদন করি, তার মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি না, সেটি দেখবো। আমদানির ক্ষেত্রে আমরা জানি, যারা সাপ্লাই করে, তাদের স্বার্থ থাকে। তারা স্পেসিফিকেশন একভাবে তৈরি করে নেয়। আমরা দেখব, বাংলাদেশে আমরা যে মানটা পাচ্ছি, সেটিতে যদি বিএসটিআই অনুমোদন দেয়, কৃষি মন্ত্রণালয় যদি উপযোগী মনে করি, তাহলে আমদানি কেন করব? আমরা স্থানীয়ভাবে বর্জ্যটাকে সারে রূপান্তর করব। এটি এখন পরীক্ষামূলকভাবে হচ্ছে, খুবই ছোট পরিসরে।
পণ্য থেকে যে বর্জ্য হয়, সেটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব উৎপাদনকারীদের, জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমরা এ নিয়েও ভাবছি। এরইমধ্যে একটি গাইডলাইন তৈরি করে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলাপ করেছি। আমরা একতরফা একটি নীতিমালা তৈরি করতে চাই না। এ কারণে শিল্প খাতের সঙ্গে আলোচনা করে যা বাস্তব, আমরা তা-ই করব।