নির্দেশনায় বলা হয়, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম-এ আনতে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সব লেনদেনের ৩০ শতাংশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে ১০০ শতাংশ অনলাইন বা ক্যাশলেস করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রান্তিক ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ডিজিটাল পেমেন্ট অবকাঠামোর আওতায় আনতে বাংলাকিউআর চ্যানেলে লেনদেনকে আরও জনপ্রিয় করতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগের আওতায় ব্যাংকগুলো সিএসআর ব্যবহার করতে পারবে।
কোন কোন খরচ সিএসআর খাত থেকে করা যাবে, তাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত বিশেষ ক্যাম্পেইন চলাকালে মাইক্রো-মার্চেন্টদের জন্য নির্ধারিত বিভিন্ন মাশুল সিএসআর খাত থেকে খরচ করা যাবে। এছাড়া ক্যাশলেস বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রচারণা, সচেতনতামূলক সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন, কোরবানির পশুর হাটে লেনদেনের খরচ এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় অবকাঠামো প্রস্তুত-সংক্রান্ত ব্যয়ও সিএসআর খাত থেকে করা যাবে।
তবে ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগের আওতায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যাতায়াত ভাতা, থাকা-খাওয়া, হোটেল বিল সিএসআর খাতে প্রদর্শন করা যাবে না।
উল্লেখ, ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো (এমএফএস) বেশ আগে থেকেই নিজেদের কিউআর চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেন সুবিধা চালু করেছে। স্মার্ট লেনদেনে উৎসাহিত করতে বাংলাকিউআর চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু আশানুরূপ অগ্রগতি দেখা যায়নি। প্রচার কম হওয়ার কারণে বাংলাকিউআর ব্যবহারে মানুষ খুব বেশি আগ্রহ দেখায়নি। এবার ব্যাংকগুলোর সিএসআর তহবিল প্রচারের কাজে ব্যবহারের নির্দেশনা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।