প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। গতকাল থেকে ঈদযাত্রায় চাপ বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের। সড়কে সড়কে চলছে প্রচুর যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি। পাশাপাশি যাত্রী পরিবহন করছে কিছু ট্রাক-পিকআপও।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গতকাল থেকেই গাড়ির চাপ বেড়েছে। গতকাল যানজটে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয় ওই পথের যাত্রীদের। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকেও টাঙ্গাইলে ১২ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে যানবাহন থেমে থেমে চলছে।
ধীরগতির কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে যানবাহনের ভিড় দেখা গেছে। চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা চারলেনের সড়ক হলেও এলেঙ্গা থেকে সেতু-পূর্ব পর্যন্ত দুই লেনের সড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজটের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে প্রচণ্ড রোদ ও তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে যাত্রীদের। গাড়ীর ধীরগতির কারণে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী-শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা।
মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, গাড়ি কোথাও থেমে নেই। গাড়ির চাপ অনেক বেশি থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে আশা করছি, শীঘ্রই গাড়ির চাপ কমে যাবে। কাল মহাসড়কে তেমন একটা চাপ থাকবে না। বিশেষত, পোশাক শ্রমিকরা সবাই একযোগে রওনা হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়েছে। গার্মেন্টসহ সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একসঙ্গে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি সকালের তুলনায় এখন কিছুটা ভালো।