• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য হলেন সাংবাদিক মঈন উদ্দীন বাড়ির কাছেই মিলছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ  বিভাগীয় কমিশনারের সাথে রাজশাহী প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সিন্ডিকেট ভাঙতে নগরীতে শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি আরএমপি কমিশনারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় ব্র্যাকের কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটন প্রকল্প ‘অতিথি’র যাত্রা শুরু নগর বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন রাজশাহীতে পুকুর দখলের চেষ্টার অভিযোগ, নিরাপত্তার দাবি চাষির রাজশাহীতে কৃষককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান: নগরীতে সুপারির ভেতরে ১৪শ পিস ইয়াবা উদ্ধার
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

তানোরে গরু মোটাতাজা করণে নিষিদ্ধ ওষুধের রমরমা বাণিজ্য 

তানোর প্রতিনিধি
সর্বশেষ: শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪

রাজশাহীর তানোরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের প্রোভাইডার কথিত প্রাণী চিকিৎসক আশরাফুল আলমের দৌরাত্ম্যে। তিনি সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগে গরু মোটাতাজা করণে নিষিদ্ধ ওষুধ (স্টেরয়েড) ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন এবং এসব ওষুধ ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাণী চিকিৎসার ওপর তার কোনো ডিগ্রী নেই। তবুও তিনি অভিজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক। উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী এলাকার আনাচে-কানাচে তিনি দিয়ে যাচ্ছেন অনুমান নির্ভর প্রাণি চিকিৎসা। তিনি অনুমান নির্ভর প্রাণী চিকিৎসা দিয়ে কৃষকের পকেট কাটছেন।এমনকি গরু মোটাতাজা করণ নিষিদ্ধ স্টেরয়েড ওষুধের যতেচ্ছ ব্যবহার করছেন ও ব্যবস্থাপত্রে নিষিদ্ধ স্টেরয়েড ওষুধ লিখছেন। অথচ রেজিস্টার্ড প্রাণী চিকিৎসক ব্যতিত ব্যবস্থাপত্রে স্টেরযেড ওষুধ লিখার কোনো সুযোগ নাই। কেউ লিখলে সেটা দন্ডনীয অপরাধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান, তার চিকিৎসায় অনেকের গরু অসুস্থ এমনকি মারাও গেছে। কিন্ত্ত তার  বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। তাদের অভিযোগ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার নেপথ্যে মদদে আশরাফুল এসব অপকর্ম করে চলেছেন। যেকারণে একাধিকবার আশরাফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বন্ধ হয়নি তার চিকিৎসা বাণিজ্যে। গরু মোটা তাজা করতে স্টেরয়েড  ওষুধ সেবন করানো হলে, গরুর কিডনি ও শরীরে পানি জমে শরীর ফুলে যায়।
কোনো কোনোক্ষেত্রে গরু মারাও যায়। দেখে মনে হয় গরু মোটাতাজা হয়েছে। কিন্ত্ত আসলে গরুর শরীরে ক্ষতিকারক পানি জমে শরীর ফুলে থাকে। এসব গরুর মাংস মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমনকি ছোট শিশুরা এসব মাংস খেলে অসুস্থ হয়ে মারা যেতেও পারে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোহর গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি প্রাণী চিকিৎসার  প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রাণী চিকিৎসা দিতে দিতে তার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। তিনি যেকোনো প্রাণীর দেহ নাড়া চাড়া করলেই বলে দিতে পারবেন রোগের ধরণ।
তিনি বলেন,উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে (মোটাতাজাকরণ) ব্যবস্থাপত্রে স্টেরয়েড ওষুধ লিখেন। এবিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা, ওয়াজেদ আলী বলেন, রেজিস্টার্ড প্রাণী চিকিৎসক ব্যতিত কেউ স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে পারবেন না। তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরো খবর