ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিশিয়া উপকূলের কাছে নৌকা ডুবে অন্তত ১৩ জন অভিবাসীর প্রাণহানি ঘটেছে। তিউনিশিয়ার উপকূলীয় এলাকায় কয়েকটি পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ১ হাজার ৮৬৭ জনকে উদ্ধার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। রোববার তিউনিশিয়ার জাতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তিউনিসিয়া থেকে ইতালীয় উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী নৌকার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ মানবপাচারের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তিউনিশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, ছোট ছোট নৌকায় চেপে হাজার হাজার অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সময় কয়েকটি নৌকা ডুবে যায়। এসব নৌকায় নারী-শিশুসহ অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ছিলেন।
পরে তিউনিশিয়া উপকূল থেকে ১৩ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উপকূলীয় এলাকা থেকে ১৬টি লোহার নৌকা ও ৪৭টি সামুদ্রিক যান জব্দ করা হয়েছে।
দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ প্রায়ই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে অভিবাসীদের ইউরোপে যাওয়ার অন্যতম প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠছে তিউনিশিয়া। দেশটি নজিরবিহীন অভিবাসন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।
দেশটির স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা তিউনিশীয় ফোরাম ফর ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রাইটস বলেছে, গত বছর রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছিল। ওই সময় সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে প্রাণ যায় ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি অভিবাসীর।
উপকূল থেকে বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর ইউরোপগামী যাত্রা বন্ধ করার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর চাপে রয়েছে তিউনিসিয়া। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ বলেছেন, তার দেশ সীমান্তরক্ষী হিসাবে কাজ করবে না।