পুতিন বলেন, কয়েক শতক ধরে তারা আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার জনগণকে পরজীবী বানিয়েছে। এসব মানুষের রক্ত-মাংস দিয়ে পেট আর অর্থ দিয়ে পকেট ভরতে সক্ষম হয়ে উঠেছে। তবে তাদের বুঝতে হবে যে সে দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যারা গত ৫০০ বছর ধরে ক্রমাগত পশ্চিমাদের শোষনের শিকার, তারা সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীন উন্নয়নের জন্য তাদের নিজস্ব আকাঙ্ক্ষাকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে শুরু করেছে।
এর আগে, গত মাসে রাশিয়ার ফেডারেল অ্যাসেম্বলিতে মূল ভাষণে পুতিন বলেছিলেন, পশ্চিমারা বিশ্বজুড়ে জাতীয় সংঘাত উস্কে দেওয়ার ঔপনিবেশিক অভ্যাস নিয়ে রাশিয়ার উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে এবং ইউক্রেনের মতো দেশকে মৃতপ্রায় ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করতে চায়। রাশিয়ার পরিবর্তে তারা এমন একটি মৃতপ্রায় জায়গা চায়, যেখানে তারা যা খুশি তাই করতে পারে।
পুতিন বলেন, অভিজাত শ্রেণির অনেক পশ্চিমা ‘রুশোফোবিয়ায় অন্ধ’ হয়ে পড়েছেন। তারা রাশিয়াকে এমন জায়গায় ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন যেখানে ২০১৪ সালে পশ্চিমাদের দ্বারা শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেনে সামরিক আক্রমণ শুরু করতে হয়েছিল।
আমি মনে করি, তারা আরও খুশি ছিল কারণ তারা বিশ্বাস করেছিল যে এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীদের হাতে পশ্চিমা অস্ত্রের সহায়তায় নিষেধাজ্ঞার ব্যারেজ ব্যবহার করে আমাদের শেষ করে দেবে,” পুতিন বলেন।
তিনি বলেন, এখন পশ্চিমারা বুঝতে পেরেছে যে, রাশিয়ার জনগণের ঐক্য, অর্থনীতির মৌলিক ভিত্তি ও স্থিতিশীলতা এবং সামরিক বাহিনীর ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনার কারণে রাশিয়াকে এভাবে পরাজিত করা শুধু অসম্ভবই নয়, অসম্ভবও বটে।
পুতিন মনে করেন, ‘যারা বেশি স্মার্ট’ তারা এখন এই উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, রাশিয়ার ব্যাপারে তাদের কৌশল পরিবর্তন করা প্রয়োজন।