নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী দুর্গাপুরে পবিত্র রমজানের প্রথম দিনেই খেজুরে ডাবল সেঞ্চুরি দেখা দিয়েছে। বর্তমানে খেজুর এখন সোনার হরিণকেও হার মানিয়েছে। পাশাপাশি বেড়ে গেছে আপেল, কমলা, আঙুর ও মাল্টার মতো বিদেশি ফলের দাম।
বর্তমানে আমদানি করা এসব ফল খুরচা বাজারে কেজিতে বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এদিকে দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট আর বাজার মনিটরিংএর অব্যবস্থাপনকেই দায়ী করছেন ক্রেতারা।
গতকাল মঙ্গলবার দুর্গাপুর উপজেলা সদর সিংগা বাজার, আলিপুর, কানপাড়া,আমগাছি বাজারের ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে বিদেশি খেজুর দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য বিদেশি ফলের দাম বেড়েছে দ্বিগুন। কেজিতে মাল্টার দাম বেড়েছে ৮০ টাকা, কমলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ থেকে ৪২০ টাকা। যা গত দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়াও অ্যাপেলের প্রকার ভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আঙুর কেজিতে বেড়েছে ৮০ টাকা।
দুর্গাপুর সিংগা বাজারে কয়েকজন খেজুর ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার ডাবল দামে খেজুর কিনতে হয়েছে তাদের। যার কারনে বেশি দামে খেজুর কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা কমে গেছে বলেছেন তারা।
ফল ব্যবসায়ী রাজু বলেন, কয়েকদিন আগেও আমরা অ্যাপেল,কমলা,আঙুর কিনেছি সঠিক দামে। হঠাৎ করে রোজার আগের দিনে ফল ওয়ার্ডার কতে গিয়ে দেখি প্রতি কেজিতে ফলের দাম বেড়েছে প্রায় অর্ধেক। ফলে আমাদেরও বাধ্য হয়ে সেই ফলগুলো বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
দুর্গাপুর বাজারে খেজুর কিনতে আসা মামুন বলেন, গত বছরে যে খেজুর ১০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি সে খেজুর এখন ২৬০ টাকা কেজি। আমাদেরমত নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে আর খেজুর দিয়ে ইফতারি করা সম্ভব না।
শাহজাহান আলী নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, গত বছরে এক পোয়া বরই খেজুর কিনেছিলাম ৬০টাকা। এবছরে তা এখন সেই এক পোয়া খেজুরের দাম ১৪০ টাকায় দাড়িয়েছে। আমাদের দেশে রমজান এলেই দেখি বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যায়। সব কিছুর দাম বৃদ্ধি হলেও আমাদের আয় বাড়েনি। এমন অস্থিতিশীল বাজারে মানুষ কি করে চলবে।
ক্রেতারা বলছে বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমত দাম কোষছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে। তারা বাজার মনিটরিংএর মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।