ডোনাল্ড লু বলেন, গত দুদিন আমি বাংলাদেশ সফর করছি। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতেই আমার এ সফর। গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনেক উত্তেজনা ছিল। এখানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন আমরা নতুন একটি অধ্যায় প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে আমরা একটি উপায় বের করতে চাচ্ছি। সম্পর্কের অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতেই আমি আজ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে অনেকগুলো অস্বস্তিকর বিষয় আছে, র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, শ্রম আইন সংশোধন, মানবাধিকার ও ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কার ইত্যাদি।
লু বলেন, অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি আমরা ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়েও সহযোগিতা বাড়াতে চাই। আমরা নতুন বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশের আরও বেশি শিক্ষার্থী যাতে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিয়েও কথা বলেছি। কীভাবে এ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করা যায়, তা বলেছি।
তিনি বলেন, এ ছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে কীভাবে একসঙ্গে লড়াই করতে পারি, মন্ত্রীর সঙ্গে সে বিষয়ে আমি আলাপ করেছি। সরকারে স্বচ্ছতা ও কর্মকর্তাদের জবাবদিহি বাড়াতে অনেক কাজ করার বাকি আছে।