মন্ত্রী বলেন, আমরা যেটা আহ্বান থাকবে যারা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তারা সকলে প্রায় একই আদর্শের মানুষ। তারা দিন শেষে একই স্থানে। অর্থাৎ পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সকলে একই পক্ষের হয়ে কাজ করবে। কাজেই তারা কেউই যেন এমন কোন কাজ না করেন, যার জন্যে পরবর্তীতে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তারা যেন একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার না করে।
দীপু মনি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রত্যেকে নিজের যোগ্যতার কথা বলে ভোট চাইবেন। কোন নেতাকর্মীকে যেন তারা অন্যভাবে চাপ প্রয়োগ না করেন তাদের পক্ষে যাওয়ার জন্য। সবাই নির্বাচন করুক। স্বাধীনভাবে নির্বাচন করার অধিকার সবার আছে। তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আমরা চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সুন্দর ও উৎসব মুখর নির্বাচন। আমি বিশ্বাস করি ২১ মে সেরকম একটি সুন্দর নির্বাচন হবে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছেও আমার চাওয়া একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রশাসনও আমাকে জানিয়েছে তারা এই ধরনের নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত।
মন্ত্রী বলেন, আমার সম্মানিত ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই তারা উৎসবমুখর পরিবেশে এসে ভোট দেবেন। কোনো চাপ প্রয়োগ ছাড়া আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দেবেন। পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন এটিই আমার প্রত্যাশা।
মন্ত্রী বলেন, এর আগেও চাঁদপুর থেকে হাইমচর নদী তীর সংরক্ষণের কাজ হয়েছে। ওই কাজটিও খুবই সুন্দর হয়েছে। কারণ তখন কাজ চলাকালীন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, অন্যান্য পেশার লোকজন এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কাজের মান দেখেছেন। কোথাও কাজের অনিয়ম হলে তা জানিয়েছেন। এবারও শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন কাজ শুরু হলে সেভাবেই কাজের তত্ত্বাবধান করা হবে।
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়সহ সরকারি অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।