মাহি নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্য নন বলে দাবি করে
মাহাবুর বলেন, আপনি ওমর ফারুক চৌধুরীর বাসার কাজের মেয়ের যোগ্য না।
নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে জুতা মারার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর এক সমর্থকের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক ভিডিওতে মাহির উদ্দেশে জুতা দেখিয়ে এই হুমকি দেন মাহাবুর রহমান মাহাম নামের ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘আপনার মতো মাহিয়া মাহিকে, এই যে দেখছেন এই জুতা? এই জুতা দিয়ে, একদম জুতা দিয়ে পিটানো উচিত।’ মাহি নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্য নন বলে দাবি করে মাহাবুর বলেন, আপনি ওমর ফারুক চৌধুরীর বাসার কাজের মেয়ের যোগ্য না।
এদিকে, এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার রাতে তানোর থানায় মাহিয়া মাহি নিজে উপস্থিত হয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্টকারী মাহাবুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, ‘হুমকির অভিযোগ অধর্তব্য অপরাধ। এ কারণে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটি যেহেতু ফৌজদারি অপরাধ এ কারণে আদালতের নির্দেশনা পেলেই প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মাহাবুর রহমান মাহামের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের কালনা পূর্বপাড়া গ্রামে। তিনি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি। মাহাবুর জানিয়েছেন, তিনি নৌকার সমর্থক। বর্তমানে দলীয় কোনো পদ নেই তার।
ঢাকাই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই এই আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ও এবার নির্বাচনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীকে কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য রাখছেন। ফারুক চৌধুরীর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডকে সামনে এনে মাহি কথা বলেছেন। আর এ কারণেই ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে জুতা মারার হুমকি দেন মাহাবুর। যদিও কিছুক্ষণ পর তিনি সেই ভিডিও ফেসবুক আইডি থেকে ডিলিট করে ফেলেন। তবে এর আগেই তার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মাহাবুর ভিডিওতে মাহিয়া মাহি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। কারা সিনেমায় যায়, সেই প্রশ্নও তোলেন। তিনি বলেন, ‘আপনার মতো মাহিয়া মাহির দ্বারা তানোর-গোদাগাড়ীর উন্নয়ন তো দূরের কথা…। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে আর একটা যদি বাজে মন্তব্য কখনও করেন, আপনাকে জুতা দিয়ে পিটানো উচিত।’
যোগাযোগ করা হলে মাহাবুর বলেন, ‘ভিডিও ছাড়ার পর রাজশাহী থেকে কয়েকজন সাংবাদিক ফোন করেছিলেন। তারা নানা কথা বলছেন। সেই কারণে ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছি।’
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। এভাবে হুমকি দেয়ার ঘটনাটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’