বাংলা নতুন বছরে দেশবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ মানেই হচ্ছে, পুরনো, জরাজীর্ণ এবং অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলা। ব্যর্থতার সকল গ্লানি মুছে দিতেই প্রতি বছর নতুন আঙ্গিকে আসে পহেলা বৈশাখ। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে বিজয় রথে এগিয়ে চলতে উল্লাসে অনুপ্রেরণা যোগায় আমাদের বাংলা নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ বাঙালির মহা ঐক্যের দিন। এমন উৎসবমুখর দিন ধর্ম, বর্ণ, জাত বা গোত্রের সীমারেখা ভেঙে একসঙ্গে একই পথে চলতে আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সুন্দরের জয়গানে পহেলা বৈশাখ সংহতি অনুষঙ্গ।
মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে কর বা রাজস্ব আদায়ের জন্য বাংলা সাল গণনা শুরু হয়। কিন্তু, এখন পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতি লালন ও বিকাশের অসাধারণ অধ্যায়। আমাদের নেতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পহেলা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত করতে দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। এরপর থেকে বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ মানেই রঙিন উৎসবে বাঙালির প্রাণের সঞ্চার। এই মহালগ্নে পল্লীবন্ধু এরশাদকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।
একইসঙ্গে বাংলা নববর্ষে সবার উন্নতি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি বলেও বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন।