ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় আর্থিক লেনদেনকারী প্ল্যাটফর্ম পেটিএম আবারো কর্মীদের চাকরিচ্যুত করেছে। সংস্থাটি এর আগেও কয়েক দফায় কর্মী ছাঁটাই করেছে। পেটিএমের মূল কোম্পানি ওয়ান নাইন্টিসেভেন কমিউনিকেশন গত মার্চ মাসে ত্রৈমাসিকে ডিজিটাল ফার্মের লোকসান হওয়ার পরেই ২০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
সংস্থাটির সিইও বিজয় শেখর শর্মা অপারেশনাল খরচ কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে আরো দক্ষ সাংগঠনিক কাঠামোর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করার কথাও চলছে।
সম্প্রতি এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ে বিজয় শেখর বলেছেন, এআইয়ের ক্ষমতায় জোর দিয়ে এবং মূল ব্যবসায় ফোকাস করে, আমরা লিনিয়র সংস্থার কাঠামোসহ উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যয় সংকোচনের উপরও কাজ করছি। সংস্থাটি প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী বিগত কয়েক মাসে চাকরি হারিয়েছেন। এদিকে সংস্থার অর্থনৈতিক কাঠামোকেও নতুন করে গড়ে তুলছে পেটিএম। যার ফলে বিনিয়োগের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
২০২৩ সালের আর্থিক বছরে কোম্পানির গড়ে ৩২ হাজার ৭৯৮ স্থায়ী কর্মী ছিল। যার মধ্যে ২৯ হাজার ৫০৩ সক্রিয় স্থায়ী কর্মী ছিল। কর্মী প্রতি গড় খরচ দাঁড়িয়েছে ৭.৮৭ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে মোট খরচ ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। যেখানে কর্মচারীর গড় খরচ বেড়েছে ১০.৬ লাখ টাকা।
ক্রমবর্ধমান ক্ষতির প্রতিক্রিয়া হিসাবে কোম্পানির লক্ষ্য কর্মচারী খরচে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করা। তাই ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার ৩০০ কর্মচারী ছাঁটাই করতে পারে।
উল্লেখ্য, পেটিএম হলো এক ধরনের অনলাইন ব্যাংক। ব্যাংকিং সিস্টেম ছাড়াও অনলাইনে টাকা পাঠাতে পেটিএম দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এছাড়াও অনলাইন শপিং, মোবাইল রিচার্জ, ইলেকট্রিক বিলসহ বিভিন্ন ধরনের অনলাইন পেমেন্টও করা যায়।