এর আগে ওই প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান লুৎফুল হাবীবের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা সুমন আহমেদ। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।
লুৎফুল হাবীব আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। তিনি সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও আছেন।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাখিল করা আবেদনে বাবার ওপর সংঘটিত নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেছেন মুনয়েম হোসেন। তার অভিযোগ, নির্বাচনী মাঠ থেকে তার বাবাকে সরিয়ে দিতে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী জঘন্য তৎপরতা চালিয়েছে। নির্যাতনের শিকার তার বাবা এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
এ অবস্থায় লুৎফুল হাবীবকে নির্বাচনে অংশ নিতে দিলে তিনি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনকে প্রভাবিত করবেন। এতে নির্বাচন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ কারণে তিনি প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক লুৎফুল হাবীবের প্রার্থিতা বাতিল করে তাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মুনয়েম হোসেনের জানান, লুৎফুল হাবীব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর যে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছেন, তা নজিরবিহীন। এ কারণে তিনি লুৎফুল হাবীবের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন করেছেন।
নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
গত ১৫ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন মনোনয়ন পত্র দাখিলের কারণে নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
মাইক্রোবাসের ভেতর মারধর করার পর তাকে আরেকটি মাইক্রোবাসে তুলে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় তারা। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরই মধ্যে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।