• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১২:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রামেক ছাত্রদলের সভাপতি নূর, সম্পাদক রীমন রাজশাহীতে ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো বাংলাদেশ রংপুর বিভাগীয় সমিতির সভাপতি ডা. মতিউল, সম্পাদক সাংবাদিক সাজু রাজশাহীর নিউমার্কেটের আগুনে পোড়া ১২ দোকানীকে রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ ও বাপার সহায়তা রাজশাহীতে ৫ রত্নগর্ভা মাকে ও দুই সংগ্রামী নারীকে সম্মাননা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, দেড় লাখ ছাড়ালো ভরি রাজশাহীতে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছেই, ৫৭ শতাংশই রাজশাহীর তানোরে বিএনপির লিফলেট বিতরণে হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন  তানোরে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণে হামলা এক লাখ মানুষের রোজগারের প্রত্যক্ষ সহযোগী নাবিল গ্রুপ: পার্টনারস্ মিট অনুষ্ঠানে এমডি
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

প্রেমিকার মুঠোফোনের তথ্য জেনে যাওয়ায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা!

বাঘা প্রতিনিধি
সর্বশেষ: শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪

ভালো লাগা থেকে ভালবাসা। পরে প্রেম বন্ধনে জড়িয়ে মন দেওয়া নেওয়া। দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে প্রেমিকার দায়ের করা ধর্ষনের মামলায় যেতে হলো হাজতে। এমন ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ গ্রামে।

শুক্রবার (৩-মে) প্রেমিক শরিফ হোসেন(২৭)কে আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়ি উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মীরগঞ্জ গ্রামে।

জানা যায়, এক নারির ভালোবাসায় প্রেমে পড়ে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শরিফ হোসেন ও তার প্রেমিকা । দু’জনের মন  দেওয়া নেওয়ার সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাড়ায় মোবাইল ফোন।

শরিফ হোসেন জানান, গত ৩০ এপ্রিল রাতে আমরা দু’জন স্বেচ্ছায় একসাথে রাত্রী যাপন করা অবস্থায় তার প্রেমিকার মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে দেখেন  তিনি ছাড়াও আরো কয়েকজন ছেলের সাথে ফেসবুক এবং ইমো চ্যাটিং এর মাধ্যমে অ¤্রীল ছবি ধারণ করে সম্পর্ক রেখেছে।  পরে মোবাইলটি আমার কাছে রেখে দিই। পরে তার ফোনটি ফেরত না দিলে থানায় আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে এ ধরনের প্রতারনার বিষয়টি মোবাইল ফোন নেওয়ার আগে জানতে-বুঝতে পারেননি বলে দাবি করেছেন শরিফ হোসেন। বিয়ে করে সংসার গড়বেন বলেই মন প্রাণে ভালবেসেছিলেন।

ভুক্তভুগী নারির দাবি, আমি ফেসবুক-ইমোতে কয়জনের সাথে প্রেম করেছি, কিংবা কারসাথে আমার মোবাইলে ছবি তুলে রেখেছি সেটি আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সারারাত তার চাচার বাসায় রেখে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে এবং আমার মোবাইল কেড়ে  নেয়। পরে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য তজলুল হক জানান,ওই নারি স্বামী পরিত্যাক্তা। শরিফ হোসেনের ঘরেও দু’জন স্ত্রী রয়েছে। এর পরেও  ওই নারির  সাথে প্রেমে লিপ্ত হয়েছে। মোবাইল কেড়ে না নিলে হয়তো পরে থানায় মামলাও হতো না।

বাঘা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ৩০ এপ্রিল রাতে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করে উপজেলার মীরগঞ্জ এলাকার একজন নারি একই এলাকার শরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় এসে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার( ৩-মে) আসামীর নিজ বাড়ী থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। আসামীকে আদালতে প্রেরণসহ নারির শারিরিক পরীক্ষার জন্য শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ও.সি.সি) পাঠানো হবে।


আরো খবর