দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মুস্তাফিজের করা বলে ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়েছিলেন মাথিশা পাথিরানা। চলতি আইপিএলের শুরু থেকেই মুস্তাফিজ আর পাথিরানাকে একে অন্যের প্রতিপক্ষ ভাবা হয়েছিল। যদিও সেদিন পাথিরানা মুগ্ধ করেছিল সবাইকে। আর গতকাল মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে সেই ক্যাচের প্রতিদানই যেন ফিরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের পেসার।
মাথিশা পাথিরানার বলে ডিপ থার্ডম্যান সীমানায় দাঁড়িয়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন মুস্তাফিজ। বিপজ্জনক ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবকে ফিরতে হয়েছে ফিজের সেই অসাধারণ ক্যাচের কল্যাণে। সূর্যকুমারের এই ক্যাচ চলতি আইপিএলের সেরা ক্যাচ হতেই পারে। পাথিরানার বলে তুলে দিয়েছিলেন থার্ডম্যানে। আর একটু হলেই ছয় হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মুস্তাফিজ সেই ক্যাচ ধরেন। ভারসাম্য সামলাতে না পেরে বল উপরে ছুড়ে দিয়েছিলেন। বাউন্ডারির ভেতরে একটি পা রেখে ভারসাম্য ফিরিয়ে আবার মাঠের ভেতরে এসে ক্যাচ লোফেন। রিভিউ দেখার পর আউট দেওয়া হয়।
ম্যাচে অবশ্য বেশ খরুচে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৫ রান। তবে নিয়েছেন একটি উইকেট। যদিও দিনশেষে ফিজ প্রশংসায় ভেসেছেন ক্যাচের জন্য। যেই তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্টও।
গিলক্রিস্ট মনে করেন পাথিরানার সেই এক ওভারেই খেলার মোমেন্টাম ঘুরে গেছে, ‘মুস্তাফিজের ক্যাচটা দারুণ ছিল। ওই এক ওভারে দুই উইকেট যাওয়ায় মোমেন্টাম ঘুরে যায়।’
ওয়াংখেড়ের ফ্ল্যাট উইকেটে মুস্তাফিজের জন্য চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছিল। হয়েছেও তাই। দলের সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন এই কাটার মাস্টার। চিপাকের ধীরগতির উইকেটের বাইরে আরেকবার সংগ্রাম করতে হয়েছে। যদিও সাবেক কিউই ক্রিকেটার সাইমন ডুল মনে করেন ফিজের বোলিং পরিকল্পনামাফিকই ছিল।
‘মুস্তাফিজ ওয়াইড দিচ্ছিলো কিন্তু পেছন থেকে ধোনি হাত তালি দিচ্ছিলো। আপনাকে বুঝতে হবে ওয়াইড গেলেও তারা তাদের প্ল্যান থেকে সরে আসেনি। ওয়াইড যাবে এটা জানতো তারা তবুও পরিকল্পনাতে স্থির ছিল।’
এদিকে গতকালের ম্যাচের পর আইপিএলের পার্পল ক্যাপের দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে রইলেন বাংলাদেশের এই পেসার। ৫ ম্যাচ খেলে ৯.১৫ ইকোনোমিতে পেয়েছেন ১০ উইকেট।