ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জেরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ‘খোলনলচে বদল নীতি’র এক পর্যায়ে দেশটির জাতীয় ক্রিকেট দলে ডিরেক্টর ও হেড কোচ হয়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ।
হাফিজকে কোচ ও টিম ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন তখনকার পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ। নিয়োগ লাভের পর মাত্র দুই সিরিজ (নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন হাফিজ।
এরপর মহসিন নকভি পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান হয়ে আসলে পদ হারান হাফিজ।
পিসিবির দেওয়া পদ হারানোর পর এরই মধ্যে চলে গেছে কয়েক মাস। এতদিনেও হাফিজকে তার প্রাপ্য বেতন তাকে পরিশোধ করেনি পিসিবি। নিজের বকেয়া বেতন নিতে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
জানা গেছে, যে বেতনে পিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন হাফিজ, সে অর্থ পাননি তিনি। এমনকি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরের দৈনিক ভাতাও তাকে পরিশোধ করেনি ক্রিকেট নিয়্ন্ত্রক সংস্থাটি।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে এই সমস্যাটি সমাধানের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যস্ততার কারণে মহসিন নকভির সঙ্গে দেখা করা এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেননি হাফিজ। ফলে বকেয়া বেতনও আদায় করতে পারেননি তিনি।
হাফিজের অধীনে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। শান মাসুদের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারে তারা। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ৪-১ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান।
দলের দুই ব্যর্থ মিশন শেষে নতুন চেয়ারম্যান মহসিন নকভি সিদ্ধান্ত নেন বাবর আজম- রিজওয়ানদের জন্য বিদেশি নিয়োগ দেওয়া হবে। এমন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই হাফিজকে সরানো হয় কোচ ও ডিরেক্টরের পদ থেকে।