টানা দুই হারের পর এসেছিল একটা জয়। এরপর আবার দিল্লি ক্যাপিটালস দেখল হারের মুখ। সেটাও কোনোপ্রকার প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছাড়াই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে এককথায় উড়ে গিয়েছে দিল্লি। আগে বল করে ২৭২ রান হজম করেছে। জবাবে অলআউট হয়েছে ১৬৬ রানে।
১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানের সেই হারের পর আরও ধাক্কা খেতে হলো ঋষভ পান্ত আর তার পুরো দলকে। চলতি আইপিএলে দ্বিতীয়বারের পান্তকে জরিমানা করল বিসিসিআই। শুধু পান্তই না, সতীর্থদেরও জরিমানা দিতে হবে। মন্থর ওভার রেটের জন্য শাস্তি পেতে হচ্ছে দিল্লি ক্যাপিটালসকে।
বোর্ডের বিবৃতি অনুযায়ী, দিল্লির অধিনায়ক পান্তকে ২৪ লক্ষ রূপি জরিমানা করা হয়েছে। বাকি সদস্যদের ৬ লক্ষ রূপি বা ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশের মধ্যে যেটি কম হবে, সেই টাকা জরিমানা দিতে হবে। এই নিয়ে এই আসরে দু’বার নিয়ম ভাঙার জন্য পান্তকে এত বড় শাস্তি পেতে হচ্ছে। এর আগে ৩১ মার্চ চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধেও এমন জরিমানা হজম করতে হয়েছিল দিল্লিকে।
দল হিসেবে বিশাখাপত্তমে অবশ্য বেশ বাজে দিনই পার করেছিল ঋষভ পান্তের দল। চলতি আসরেই আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাদের ২৭৭ রানের সেই রেকর্ড প্রায় ভেঙে দেওয়ার পথেই ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
পুরো ম্যাচেই দিল্লির বোলারদের শাসন করেছে কলকাতা। সুনীল নারিন ও অংক্রিশ রঘুবংশীর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে এক ইনিংসে আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হয়ে গেছে। জোড়া ফিফটিতে নির্ধারিত ওভার শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ২৭৩ রানের লক্ষ্য দেয় কলকাতা। এ নিয়ে এক মৌসুমে দুবার ২৫০-এর বেশি রান এই প্রথমবার দেখা গেল।
জবাবে বৈভব অরোরা এবং বরুণ চক্রবর্তীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় দিল্লির ইনিংস। এদিন কেকেআরের হয়ে চলতি আইপিএলে প্রথমবার উইকেটের দেখা পেয়েছেন মিচেল স্টার্ক।