• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

বাগমারা থেকে সরাসরি পণ্য যাবে নওগাঁ সদরে

রিপোর্টার নাম:
সর্বশেষ: শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২

মান্দায় জোতবাজার খেয়াঘাট ব্রিজ
বাগমারা থেকে সরাসরি পণ্য যাবে নওগাঁ সদরে

মান্দা প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দা উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে আত্রাই নদী। আর এই নদীটির কারণে নদীর দুই পাশের মানুষের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। দৈনন্দিন কাজে নৌকায় করে নদীর পারাপারে নষ্ট হচ্ছ সময়। যেন অদৃশ্য কাটা তারের বেড়া দুই পাড়ের মানুষের মাঝে। নদীর কারণে চাইলেই দ্রুত নদীর এই পাশ থেকে ওপাশে যেতে পারেনা কেউ। পারাপারের জন্য ভরা মৌসুমে অপেক্ষা করতে হয় নৌকার আর শুকনো মৌসুমে বাশঁ কাঠের নড়বড়ে সেতু । এই বাশঁ কাঠের সেতুতে উঠতে পারেনা চার চাকার হালকা ও ভারি যানবাহন। ফলে দুই পাশের মানুষের ব্যবসা বানিজ্যের মধ্যে থেকে যায় দূরত্ব ।
মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে নুরুল্যাবাদ ইউপির জোতবাজার খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে ২০২২ সালে অনেকটাই এগিয়ে গেছে সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ। সড়কের জন্য অধিগ্রহণকৃত জায়গা দখলের কাজ। বাকি রয়েছে ব্রিজটির কয়েকটি বিম নির্মাণ। ব্রিজটি সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে নদীর দুই পাড়ের মানুষ। ব্রিজটি দৃশ্যমান হলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার, গোবিন্দপাড়া ইউপি,হাট দামনাশ এসব এলাকার মানুষ বেশি সুফল ভোগ করবেন । সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার জোতবাজার খেয়াঘাটে আত্রাই নদীর ওপর ২১৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের একটি সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। নির্মাণ ব্যয় ছিল ১৮ কোটি ৮১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পান মিলন এসিএল এবং এমএএইচসিএল (জেভি) নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সেতুটি নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিনামা সম্পাদন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এরপর ১৭ এপ্রিল কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চুক্তিনামায় ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের মধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ থাকলেও তা হয়নি। পরবরর্তীতে আবার নতুন ভাবে সময় বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
স্থানীয়রা জানান, আগে জোতবাজার থেকে ধান, পাট, সরিষাসহ বিভিন্ন পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। সেতুটি নির্মাণ হলে এ জনপদের ব্যবসায়ীসহ লোকজন সহজেই নওগাঁ সদরে যাতায়াত করতে পারবে। পণ্য পরিবহনে ব্যয় কমে যাবে অনেক। নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠবে বাজার। ব্রিজ নির্মাণ শেষ হলে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা থেকে সরাসরি পন্য যাবে নওগাঁ সদরে। এর মধ্যে ব্রিজের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে । এখন বাঁকি কাজ সম্পূর্ণ করে দ্রুত চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা।
মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।


আরো খবর