• ঢাকা, বাংলাদেশ শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

বাঘায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যু: মেয়ের পা বিচ্ছিন্ন

বাঘা প্রতিনিধি
সর্বশেষ: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫

রাজশাহীর বাঘায় মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও মেয়ের পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এদের মধ্যে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেলেন বাবা। পাঁচ বছরের শিশু কন্যা কাতরাচ্ছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মেয়ে উম্মে তুরাইয়ার ডান পা কাটা পড়েছে দুর্ঘটনায়।  সোমবার সকালে তুরাইয়াকে নিয়ে স্কুলে যাবার পথে বাঘার বানিয়াপাড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বলেন, সোমবার সকালে শান্ত মোটরসাইকেলে করে তার মেয়ে তুরাইয়াকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী মোসা: জেসমিনও। পথে বানিয়াপাড়ায়  একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে বাবা-মা ও মেয়ে তিন জনই আহত হন। বাবা ও মেয়ে বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে তাদের দুজনেরই  শরীর থেকে ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই দ্রুত তিনজনকেই নেয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকার কুমার বিশ্বাস বলেন, সকাল ১০টার পর বাবা ও মেয়েকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে দ্রুত তাদের চিকিৎসা শুরু হয়। বাবা এবং মেয়ে দুজনেরই একটি করে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দুর্ঘটনায়। হাসপাতালে আসার পরই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে রক্ত বন্ধ করা হয়। দুপুরের দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।  কিন্তু দুপুরের পর শান্তর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার ঢাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি। তাকে আইসিইতে স্থানান্তর করা হয়। বিকেলে সেখানেই তিনি মারা যান। মেয়ের অপারেশন হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে তাকে ও তার মাকে হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, তুরাইফার বাবা শান্ত হার্ডওয়ারের ব্যবসা করেন। পার্শ্ববর্তী নাটোরের লালপুর উপজেলার আটটিকা-জামতলা এলাকার এজাহার আলীর ছেলে তিনি। তুরাইফা বাঘা পৌরসভা সংলগ্ন স্থানীয় গ্রীণ হ্যাভেন স্কুলের শিশু শ্রেণির ছাত্রী। বাবার মোটরসাইকেলের পিছনে বসেই নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করতো।

 

 

 


আরো খবর