রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যার সকল আসামি গ্রেফতার করে এবং মেয়র আক্কাছের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে থেকে শুরু করে বিক্ষোভটি বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে। পরে একই স্থানে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান নিপন। যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নিহত বাবুলের ছেলে আশিক জাবেদ, আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শহীদুজ্জামান শাহিদ, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাতি রোকনুজ্জামান রিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির, বাঘা পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহিন আলম, সাধারণ সম্পাদক জুবাইদুল হক, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল হোসেন বিপ্লব, সাবেক বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের উপজেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিল্টন, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ফাতেমা খাতুন লতা ও বাজুবাঘা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিম হাসান স্বদেশ প্রমুখ।
বিক্ষোভ মিছিলের সামনে ব্যানারের পাশাপাশি অসংখ্য বিলবোড লক্ষ্য করা যায়। সেই বিল বোর্ডে নিহত উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের রক্তাক্ত ছবি এবং তার নিচে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী এবং পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজের ক্রস চিহৃ বিশিষ্ট ছবি নিয়ে বিেেক্ষাভ করতে দেখা যায়। এ মিছিলের স্লোগান ছিল ফাঁসি-ফাসি ফাঁসি চাই, আক্কাছ-মেরাজের ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত অফিসার ও বাঘা থানার তদন্ত ওসি সোয়েব খান বলেন, বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ৫ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। বর্তমানে সে রিমান্ডে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানো হবে।