• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

বাঘায় ৬০ টাকা কেজির বেগুন এখন দশ টাকা,কমেছে অন্য সবজির দামও

রিপোর্টার নাম:
সর্বশেষ: রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় গত ৪দিনের ব্যবধানে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১০ টাকা দরে। লালশাঁক-পুঁইশাঁক বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে। বেগুন, লালশাঁক-পুঁইশাঁকসহ অন্যান্য সবজির দামও করেছে। রোববার (১৭ মার্চ) উপজেলার বাঘা হাটে সবজির বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির তুলনায় পণ্য বিক্রি হচ্ছে কম। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য,একদিকে ক্রেতা কম, অন্যদিকে যে সব ক্রেতারা বাজারে আসছেন তারা পণ্যও কিনছেন কম। দামে ক্রেতাদের স্বস্তি মিললেও পণ্য কম বিক্রির কারণে লাভের অংক হিসেবে অস্বস্তি বিক্রেতাদের।

এক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছে, পদ্মার চরের চাষি সিজানুর ইসলাম । তিনি বলেন, মৌসুমের শুরুতে ভাল দাম পেলেও বর্তমানে ধস নেমেছে বেগুনের দামে। দাম কম হলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি জানান, রোববার খেত থেকে ২০০ টাকা হিসেবে ২০ মণ বেগুন বিক্রি করেছি। সে হিসেবে প্রতি কেজি বেগুনের দাম পড়ে ৫টাকা। বর্তমানে দামে কম হলেও চাহিদা না থাকার কারণে পাইকাররা বেশি করে নিতে চাননি। তিনি জানান, মাস খানেক আগেও এই বেগুন প্রতিকেজি ৬০ টাকা হিসেবে বিক্রি হয়েছে।

প্রাইকারি বেগুন ব্যবসায়ী আলান উদ্দিন জানান, শ্রমিক, গাড়ি ভাড়া ও খাজনাসহ বিভিন্ন খাতে খরচের হিসেবে বেগুন ক্রয় বিক্রিয়ে লাভ হচ্ছে না। ৫দিন আগে মাঠ থেকে ৭০ মণ বেগুন কেনেন প্রতিকেজি ৫টাকা দর হিসেবে। সেই বেগুন ঢাকায় বিক্রি করে দুই হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।

বাঘা পৌর বাজারে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি করতে দেখা গেল, প্রকারভেদে ১০ টাকা,১৫টাকা আর ৩০ টাকা কেজি দরে। এগুলো পাইকারি হিসেবে কম দামে কেনা।

জানতে চাইলে ওই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শাহাজান আলী বলেন, আকার ভেদে চরকি জাতের যে বেগুন ১০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করছি, সেগুলো পুরাতন গাছের বেগুন। নতুন গাছের বেগুন বিক্রি করছেন ১৫ টাকা আর আম বেগুন বিক্রি করছেন ৩০ টাকা হিসেবে। ১৫ টাকা কেজি দরে লালশাঁক-পুঁইশাঁক বিক্রি করছিলেন আরেক সবজি ব্যবসায়ী ইমরান আলী। তিনি জানান,সাপ্তাহিক গত বৃহস্পতিবার হাটে লালশাঁক-পুঁইশাঁক বিক্রি করেছেন ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম জানান তিনি।

রোববার হাটে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হয়েছে ৪০/৪৫ টাকা, গত বৃহসপতিবার হাটে সেই করলা বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা। রোববার হাটে মটরশুটি বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা,বৃহসপতিবার দামি ছিল ১০০ টাকা কেজি। রমজানের পরে ১২০ টাকা কেজির ঢেঁড়স রোববার বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, ৮০ টাকার শসা ৪০ টাকা, ১২০ টাকার পটল ৬০ টাকা, ৭০ টাকার খিরা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, ৪০/৫০ টাকা কেজির মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকা, ৩০ টাকার শীম বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা কেজি দরে। অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হয়েছে-ডাটা.লেবু, গাজর, কাঁচাকলা। এগুলো বিক্রি হয়েছে- ২০-২৫ ও ৩০ টাকা কেজি দরে।

কাঁচা মরিচের দর কেজি প্রতি ২০ টাকায় নেমে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি, ৯০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি,১১০ টাকার রসুন বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি। তবে ৩০ টাকার টমেটো কেজিতে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। লাউ বিক্রি হয়েছে- প্রতি পিচ ১০-১৫টাকা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, পদ্মার চরেসহ উপজেলায় ১৯৯ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে। লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হওয়ায় দাম কিছুটা কমে গেছে। এরপরও এ দামে বেগুন বিক্রি করলেও চাষিদের লোকসান হবে না।


আরো খবর