৫ বছর পর ১০ শর্তে ১৫ দিন ব্যাপি ৫০০ বছরের রাজশাহীর বাঘার ঐতিহাসিক ঈদ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ মেলার ইজারা প্রদান সম্পূর্ণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সকাল ১১ টায় বাঘা মাজার শরিফ চত্বরে ১৫ দিনের জন্য উন্মুক্ত ডাকের আয়োজন করা হয়। এই মেলা ২৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইজারা প্রদান করা হয়। ২০১৯ সালে সর্বশেষ মেলার ডাক হয়েছিল ২১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা।
জানা যায়, ৮ লক্ষ টাকার জামানত সাপেক্ষে এ ইজারায় অংশ নেয় অত্র এলাকার ২০ জন ব্যবসায়ী। এরমধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১৫ দিনের জন্য এই মেলা ইজারা দেয়া হয় বাঘা পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেনকে।
মেলা ইজারার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, মাজারের সদস্য সচিব মতোয়াল¬ী খন্দকার মুনছুরুল ইসলাম রইস, বাঘা থানা ওসি আমিনুল ইসলাম, অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ বিষয়ে বাঘা ওয়াকফ্ এষ্টেটের মোতোয়ালি¬ ও মাজারের সদস্য সচিব খন্দকার মনছুরুল ইসলাম রইশ বলেন, আবদুল আব্বাসী (রঃ) বংশের হযরত শাহ্ মোয়াজ্জেম ওরফে শাহদৌলা (রহঃ) ও তার ছেলে হযরত আব্দুল হামিদ দানিশমন্দ (রহঃ) ওফাৎ দিবসে ধর্মীয় ওরস মোবারক উৎসবকে কেন্দ্র করে সাধকদের সাধনার পীঠস্থান হিসেবে ওয়াকফ এষ্টেটের এলাকা জুড়ে ঈদুল ফিতরের ঈদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ মেলা। তবে মেলায় অশ্লীল কোন কিছু চলবেনা মর্মে ১০টি শর্ত সাপেক্ষে ১৫ দিনের জন্য ইজারা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী শহর থেকে ৪৯ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ কোনে বাঘায় হযরত শাহদৌলা (রঃ) ও ছেলে হযরত আঃ হামিদ দানিশ মন্দ (রঃ) সাধনার পীঠস্থান। বাঘা শাহী মসজিদের ভিতরে প্রবেশ পথের উত্তর গেটের বামদিকে হযরত শাহদৌলা (রঃ) রওজা শরীফ অবস্থিত।
৫০০ বছর আগে বাগদাদ থেকে ৫ জন সংগীসহ ইসলাম প্রচারের জন্য পূর্ব-দক্ষিণ কোনে পদ্মা নদীর কাছে বাঘা নামক স্থানে বসবাস শুরু করেন। তারপর নিজের চরিত্র, মাধুর্য্য, ব্যবহার ও আত্মিক শক্তির বলে এই এলাকার জনগণের মধ্যে ইসলাম প্রচারে আকৃষ্ঠ করেন তিনি। এই এলাকার মানুষ তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাঁর আত্মিক ক্ষমতার প্রভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মানুষ। তাঁর স্বরণে প্রায় ৫০০ বছর যাবত চলছে ঈদ মেলা।