নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্ট না বুঝেই বিএনপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই সমালোচনা করছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
পলক বলেন, সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্ট জনবন্ধক ও জনকল্যাণ মুখি। এটি গণমাধ্যম বা সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা খর্ব নয় বরং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যারা আইনটি নিয়ে সমালোচনা করছেন তারা বিষয়টি না জেনে করছেন। সাইবার সিকিউরিটি আইনের প্রতিটি ধারাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করার পর সেটি নিয়ে সমালোচনা করার জন্য বিএনপিকে পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনটি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে সমঞ্জস্যপূর্ণ। বিভিন্ন দেশের আইন এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে এই আইনটি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এটি একটি যুগোপযোগী আইন এবং ভবিষ্যতের জন্য এটি কল্যাণকর বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জয় সিলিকন টাওয়ারের লঞ্চপ্যাড উদ্বোধন ও ইন্টেলেকচুয়াল হিস্ট্রি অন স্টার্ট-আপ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
এসময় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি সেবা নেয়ার জন্য কাউকে সরকারি দপ্তরে যেতে হবে না, সবাই স্মার্ট ফোনে পাবে সরকারি সকল সেবা। তিনি বলেন, মেধাবীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে এবং নতুন সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে হাইটেক পার্ক। তিনি নতুন প্রজন্মকে সুযোগের সঠিক ব্যবহারের পরামর্শ দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ শক্তিশালীভাবে গড়ে উঠলেই ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। স্মার্ট নাগরিক হতে হলে দেশপ্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক, উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল হতে হবে। আজকের প্রজন্ম যেভাবে গড়ে উঠবে, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ সেভাবে এগিয়ে যাবে। যখন যেখানে দরকার সেখানেই থাকবে স্মার্ট সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন,সকল ক্ষেত্রে জনগণের সেবা সহজ করতে কাজ করছে সরকার। ব্যাংক, পাসপোর্ট অফিসও স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নাগরিকের সেবা আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ভবিষ্যতে স্টার্টআপ তৈরির লক্ষ্যে আয়োজিত এ কোর্সে রাজশাহী জেলার ৫টি বিশ^বিদ্যালয় থেকে ২৩৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এনডিসি, বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক এ.কে.এ.এম ফজলুল হক, ডিজিটাল উদ্যোক্তাএবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবুল ফাতাহ মো: বালিগুর রহমান এসময়উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের জয় সিলিকন টাওয়ারে ‘ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান সিড’ উদ্যোগের আওতাধীন স্টার্টআপ স্টুডিও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাড’ এর উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।