ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই দিন বাঙালি জাতি পরম ভালোবাসায় তাদের হৃদয়ে ধারণ করে, চেতনায় ধারণ করে। আজকের এই দিনে বেশি কথা বলার নেই। এটা আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য, কারা বৈশাখের চেতনা বিরোধী, কারা বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী কায়দায় ’১৪ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার শোভাযাত্রাকে বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। সেই অপশক্তি আজও বাংলার মাটিতে আছে।
তিনি বলেন, আজকে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক। এখানে আমাদের ইতিহাসের অনেক স্মৃতি। বাহাদূর শাহ পার্কটি, ঐতিহাসিক স্থানটি সংরক্ষণ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলব এখানে বাঙালির ইতিহাসের অনেক স্মৃতি, অনেক লড়াই সংগ্রামের স্মৃতি। এই স্মৃতি ধরে রাখতে হবে এবং স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি আজকে এই ঐতিহাসিক স্থানটিতে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজকে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাঙালি সংষ্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে আমাদের চেতনায় ধারণ করে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। হাজার বছরের সবার সেরা বাঙালি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য এই বাংলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি সংস্কৃতির বহমান ধারাকে আমরা বহতা নদীর মতো এগিয়ে নিয়ে যাব বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিমুখে।
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের, চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ, শত্রু। আসুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, বাঙালির ঐহিত্যবাহী চেতনায় এই শত্রুপক্ষকে আমরা প্রতিহত করি, পরাজিত করি এবং বিজয়ের লক্ষ্য অভিমুখে এগিয়ে যাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে শিশু আজও সমুদ্রের মুখ দেখেনি, বাংলাদেশের যে শিশু অকালে ঝরে যায়, বনফুলের মত ফুটে বনফুলের মত অদৃশ্য হয়ে যায়, বাংলাদেশের যে শিশু কমলা রঙের অপরাহ্নের রোদ দু-হাতে গালে মাখেনি পরমানন্দে, সেই শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা নির্মাণ করব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের শিশুদের জন্য। গাজায় ইহুদিরা রক্তস্রোতে ভাসিয়ে দিচ্ছে, ১৪ হাজার শিশুকে এ পর্যন্ত হত্যা করেছে। আসুন আমরা সেই শিশুদের জন্য বাংলাদেশকে নিরাপদ আবাসভূমি হিসেবে গড়ে তুলি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ অভিমুখে যায়। এতে নেতাকর্মীরা অংশ নেন।