নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিককে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে আরএমপি। বুধবার বেলা ১১টায় পুলিশ লাইনস ট্রেনিং স্কুল মাঠে পুলিশ কমিশনারকে এই বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনারের হাতে সম্মাননা স্মারক ও উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়া তাকে ফুল দিয়ে নতুন কর্মস্থলের (ঢাকার সিআইডি) জন্য শুভেচ্ছা জানান আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফরা বিদায়ী পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে কাজ করার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে পুলিশ কশিমনার আরএমপিতে দুই বছর চার মাসের কর্মকালের খণ্ড চিত্র নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী পুলিশ কমিশনার বলেন, ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর থেকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে এবং পুলিশি সেবাকে তিলোত্তমা মহানগরী রাজশাহীবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছি। এই কাজে আপনারা পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আপনাদের সহযোগিতার কারণেই পুলিশের সেবা মহানগরবাসীর দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়ে সবার আস্থা অর্জন করেছে আরএমপি।
রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিট। যার সুফল পাচ্ছে এই অঞ্চলের জনগণ। এছাড়াও সিসিটিভি স্থাপন, অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার তৈরি, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব, হ্যালো আরএমপি অ্যাপস, কিশোর গ্যাং ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি এবং কাউন্সিলিং, করোনা মহামারি সময় পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক ও আরএমপি ব্লাড ব্যাংক এবং টেলিমেডিসিন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। আধুনিক বাংলার স্মার্ট পুলিশ হয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে সেবা দিতে সততা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে তিনি দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
এ সময় জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকাকে অবিস্মরণীয় করতে পুলিশ কমিশনারের উদ্যোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর, রাজশাহী স্থাপন করা হয়েছে এবং ‘মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী পুলিশ’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে, যা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মো. ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) বিজয় বসাক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যান্ড ডিবি) সামসুন নাহার, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) সাইফউদ্দীন শাহীন। এছাড়া রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফোর্স ও সিভিল স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।