শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে আলোচনাটা সামনে এসেছে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠন করা নিয়ে, ছাত্রসংগঠন করা নিয়ে। কিছু শিক্ষার্থী সেখানে কিছু দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। সেটা কোন প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করেছে সেটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং আইন-বিধির মাধ্যমে পরিচালিত। সেখানে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেটা নিয়ে তারা কাজও করছেন। আমরা অনুরোধ করবো সব পক্ষকে, সেখানে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় এবং শিক্ষার পরিবেশ যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়।
‘তবে যেসব রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান আছে, মুক্তবুদ্ধির চর্চার জায়গায় যদি সেখানে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, বাংলাদেশের সংবিধানের যে চার মূলনীতি- সেসব আদর্শিকভিত্তির জায়গায় কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী যদি কোনো ধরনের অপরাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে চায়, সেগুলো প্রচার করা বা প্রগতিশীল মুক্তিবুদ্ধির চিন্তার কোনো সুযোগ না রাখার প্রচেষ্টা যদি কেউ না করে, অবশ্যই সেটা ভালো কিছু নয় এবং কারা এই ধরনের মনোবৃত্তি লালন করছে, কারা এগুলোকে প্রশ্রয় দিচ্ছে আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখবো। ’
তিনি বলেন, আমরা কিছুদিন আগেও দেখতে পেয়েছি অনেকে অভিযোগ করেছিলেন যে কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীও গোপনে সেখানে কার্যক্রম করার একটা আলোচনা-সমালোচনা ছিল। সেটা নিয়েও আমরা গভীরভাবে তদন্ত করবো। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতি আমরা আহ্বান করবো, শিক্ষার পরিবেশ যাতে কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিপর্যায়ে এমন কেউ যদি এমন মানসিকতা রাখে যে সেটা মনে হয় যেন মৌলবাদী বা জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেওয়ার মতন কার্যক্রম হচ্ছে, সেটা অবশ্যই বন্ধ প্রতিহত করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, আমাদের তদন্ত যারা করছে জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করে কাউন্টার টেররিজমের বিশেষ টিম আছে তারাও কাজ করবে সেটা শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়, সব প্রতিষ্ঠানে। পেছন থেকে কেউ ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, পেছন থেকে কেউ কি জঙ্গিবাদী মানসিকতার-উগ্রবাদী মানসিকতার কেউ কি ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ এই আলোচনাটা বারবার আসছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছি। তারা সেভাবে করে সিদ্ধান্ত নেবেন।