বুয়েট উপাচার্য বলেন, গভীর রাতে (ক্যাম্পাসে) প্রবেশ করা অবশ্যই অনিয়মতান্ত্রিক৷ কে এসেছে, তাকে আগে চিহ্নিত করতে হবে৷ চিহ্নিত না করে তো শাস্তি দেওয়া যাবে না৷ তার জন্য সময় প্রয়োজন৷ যদি কোনো নিরাপত্তারক্ষী বহিরাগত ব্যক্তিদের ঢুকতে দিয়ে থাকেন, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব৷
তিনি জানান, পুরো ঘটনা তদন্ত করতে ৬ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে ৮ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ইমতিয়াজকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তবে তাকে টার্ম বহিষ্কার করতে হলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে শৃঙ্খলা কমিটির সভা ডেকে করতে হবে। সেক্ষেত্রে তদন্ত প্রয়োজন এবং অভিযুক্তকে আত্মপক্ষের সমর্থনও দিতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া শৃঙ্খলা কমিটি ব্যবস্থা নিতে পারে না। আদালতে গিয়েও তা টিকবে না। আমাদেরকে আইন ও নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে।
আজ ও আগামীকালের পরীক্ষা বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষা স্থগিত করিনি, তারা (শিক্ষার্থী) বর্জন করেছে। তারা পরীক্ষা স্থগিতের আবেদনও করেনি। তারা এখানে ভুল করেছে। পরে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য আবেদন করলে একাডেমিক কাউন্সিল তা বিবেচনা করতে পারে বলে জানান তিনি।
ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে বুয়েট উপাচার্য বলেন, ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পদত্যাগের বিষয়ে আমরা ভাবছি না। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, নিয়ম অনুযায়ী সময় মতো হবে। শিক্ষার্থীরা দাবি করতেই পারে, তবে দাবির মুখে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না।
তবে মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে বলে জানান সত্য প্রসাদ মজুমদার। তিনি বলেন, তিনি (নিরাপত্তা কর্মকর্তা) কেন প্রবেশ করতে দিলেন। তার তো প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত হয়নি৷
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ একদল নেতাকর্মী বুয়েটে ‘মহড়া’ দেন। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার শঙ্কা তুলে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের (ইমতিয়াজ রাব্বি) হল বাতিল করেছে প্রশাসন।