• ঢাকা, বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

পুঠিয়ায় ভাটফুলে সেজেছে রাস্তাঘাটের দুই পাশ

রিপোর্টার নাম:
সর্বশেষ: শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪

পুঠিয়া প্রতিনিধি :
 রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার গ্রামীণ রাস্তার দুই পাশ থেকে শুরু করে মহাসড়কের দুপাশে সেজেছে  ভাটফুলে। অযত্নে আর অবহেলায় জন্মে এবং বেড়ে ওঠা ভাটফুল বা বনজুঁই সহজেই মানুষের নজর কাড়ে।
ঋতুরাজ বসন্তের শুরু থেকেই ঝোপ-ঝাড়ে, জঙ্গলে, রাস্তার ধারে নিজের সুন্দর রূপ ছড়িয়ে সুবাস ছড়িয়ে মানুষকে মুগ্ধ করে থাকে এই ফুল।
 গ্রামীণ সড়ক থেকে শুরু করে মহাসড়কের আশেপাশে রাস্তা  দুপাশে ফুটন্ত ফুলের সমারোহ দেখলে মনে হবে প্রকৃতি যেন অপরূপ সাজে সেজেছে।
এছাড়া উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাগানগুলোতে ভাঁট ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ।
রাস্তায় চলাচলকারী লোকজন এবং ঘুরতে বা বেড়ানো দর্শনার্থীরাও তা দেখে মুগ্ধ হন।
স্থানভেদে এটির নাম ভাটফুল, ঘেটু ফুল, ভাত ফুল, ঘণ্টাকর্ণ থাকলেও পুঠিয়ায়  ‘ভাটফুল’ নামেই পরিচিত।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বসন্তের আগমনে পলাশ-শিমুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ ফুল ফোঁটে। এ ফুল ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে ফুটতে দেখা যায়।
বিশেষ করে পরিত্যক্ত মাঠ, বন, রাস্তা কিংবা জলাশয়ের পাশে ভাঁট ফুলের ঝোঁপ চোখে পড়ে।
সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয় এ ফুলের গাছ। এ গাছের পাতা দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে।
ডালের শীর্ষে পুষ্পদন্ডে ফুল  ফোঁটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশ্রণ আছে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম অবধি ফুল ফোঁটে। এ ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। রাতে বেশ সুঘ্রাণ ছড়ায় এ ফুল। ফুল ফোঁটার পর  মৌমাছিরা ভাঁট ফুলের মধু সংগ্রহ করে।
এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্লোরোডেনড্রাম ভিসকোসাম. এই ফুল ল্যামিয়াসেই পরিবারভুক্ত। এটি ইনফরচুনাটাম প্রজাতির এবং বাংলাদেশের আদি ফুল।
ভাটফুল ওষুধি উদ্ভিদ। এর পাতা কবিরাজরা অ্যাজমা, টিউমার, সাপের কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের সর্বত্রই ভাটফুলের কম বেশী দেখা মেলে ।


আরো খবর