বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, প্রতি বছরই আমরা এই টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করি মানুষের ঈদযাত্রা যাতে স্বস্তিদায়ক হয়। এখানে (গাবতলী বাস টার্মিনাল) আমাদের মোবাইল কোর্ট, ভিজিলেন্স টিম, মনিটরিং টিম কাজ করছে। আমি এখানে বিভিন্ন টিকিট কাউন্টার ঘুরে দেখলাম, বেশিরভাগ জায়গায় ভাড়া কম নেওয়া হচ্ছে। দুই-এক জায়গায় রুট ভুল লিখেছে। তাই ওই দুইটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করতে বলেছি। এখানে যাত্রীর তেমন ভিড় নেই, পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও দেখছি না।
বিআরটিএ-এর পক্ষ থেকে প্রতিটি কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এটি আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট, ভিজিলেন্স টিম সদস্যরা দেখছেন। মালিক সমিতির নেতারাও এই ব্যাপারে সিরিয়াস, যাতে তাদের বদনাম না হয়।
যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আপনারা চার্ট দেখে ভাড়া দেবেন, সেই তালিকা অনুযায়ী ভাড়া দেবেন। অতিরিক্ত এক টাকাও ভাড়া দেবেন না। যদি কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে টিকিট কাটার আগের আমাদের ভিজিলেন্স টিমের কাছে অভিযোগ করবেন। যদি এর পরেও কোনো সুরাহা না হয়, তাহলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক হবে।
তিনি আরো বলেন, ঈদের সময় কিছু আনফিট গাড়ি রাস্তায় নেমে আসে, এমন একটি কমন অভিযোগ থাকে প্রতিবছরই। এবার কোনোভাবেই যাতে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারে, এজন্য আমরা বিআরটিসির ৫৫০টি বাস রিজার্ভ রেখেছি। গার্মেন্ট মালিকদের রিকুইজিশন দিতে বলেছি, যাতে আনফিট গাড়ি না নিয়ে বিআরটিসির বাস নিতে পারে। সুতরাং এখানে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামার সুযোগ নেই।
এছাড়া যেসব জায়গা থেকে আনফিট গাড়িগুলো বের হওয়ার চেষ্টা করে সেগুলো বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নজরদারিতে রয়েছে। এরপরও কেউ যদি বের করে, সেটি জানালে তাৎক্ষণিক লোকাল প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।