• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
তানোরে বিএনপির লিফলেট বিতরণে হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন  তানোরে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণে হামলা এক লাখ মানুষের রোজগারের প্রত্যক্ষ সহযোগী নাবিল গ্রুপ: পার্টনারস্ মিট অনুষ্ঠানে এমডি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য হলেন সাংবাদিক মঈন উদ্দীন বাড়ির কাছেই মিলছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ  বিভাগীয় কমিশনারের সাথে রাজশাহী প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সিন্ডিকেট ভাঙতে নগরীতে শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি আরএমপি কমিশনারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় ব্র্যাকের কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটন প্রকল্প ‘অতিথি’র যাত্রা শুরু নগর বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

ভাষা সৈনিক গোলাম আরিফ টিপু -এর মৃত্যুতে আরইউজে’র শোক

রিপোর্টার নাম:
সর্বশেষ: শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
 আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর ভাষা সৈনিক অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে)। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে আরইউজে’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রকি যৌথ শোকবার্তায় দেশের বরেণ্য এই ভাষা সৈনিকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় আরইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৫২ সালে রাজশাহীতে বাংলা ভাষা আন্দোলন মূলত গোলাম আরিফ টিপু’র নেতৃত্বে সংগঠিত হয়। তিনি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ সালে একুশে পদক প্রদান করে। গুণি এই মানুষটিকে হারিয়ে আমরা বাকরুদ্ধ। তাঁর এই মহাপ্রয়াণে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। ভাষা আন্দোলনসহ দেশ মাতৃকার জন্য তাঁর যে অবদান তা জাতি শ্রদ্ধাভরে চিরকাল স্মরণ করবে।

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাষা সৈনিক গোলাম আরিফ টিপু মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইজি রাজিউন)। ৯৩ বছর বয়সী জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গোলাম আরিফ টিপু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের উদ্দেশ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান।

তিনি ১৯৩১ সালের ২৮ অগাস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের (তৎকালীন মালদহ জেলা, ব্রিটিশ ভারত) শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আফতাব উদ্দিন আহমদ ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রার। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে টিপু দ্বিতীয়। তিনি কালিয়াচর বিদ্যালয় থেকে ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক ও রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৫০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। একই কলেজ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন।  ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক এ আইনজীবী রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে ২০১৯ সালে একুশে পদক দেওয়া হয়। গোলাম আরিফ টিপু ১৯৫৮ সালে আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি একাধিকবার রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।


আরো খবর