শাহিন আফ্রিদি অধিনায়ক থাকছেন না। কেবল এক সিরিজ পরেই সরে দাঁড়াতে হলো এই পেসারকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই সিরিজটাও যে খুব ভাল কেটেছে সেটাও বলা চলে না। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারতে হয়েছিল ম্যান ইন গ্রিনদের। এরপর পিএসএলেও ভাল সময় যায়নি শাহিনের। এরপরেই নতুন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দিয়েছেন বাবর আজমকে।
অধিনায়কত্বের ঘোষণা চূড়ান্ত হওয়ার পরেই শাহিন আফ্রিদির নামে একটি বিবৃতি প্রচার হয়। যেখানে এই পেসার বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করতে পারাটা চূড়ান্ত সম্মানের ব্যাপার। সব সময়ই এ স্মৃতি ও সুযোগ লালন করে যাব। দলের খেলোয়াড় হিসেবে অধিনায়ক বাবর আজমকে সমর্থন জানানো আমাদের কর্তব্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছিল, ‘আমি তার নেতৃত্বে খেলেছি এবং তার প্রতি আমার শুধুই শ্রদ্ধা রয়েছে। মাঠ এবং মাঠের বাইরে আমি তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। আমরা সবাই এক। আমাদের লক্ষ্যও একটাই, পাকিস্তানকে বিশ্বের সেরা দল বানানো।’
শাহিন আফ্রিদির তরফে এমন মন্তব্য পেয়ে বেশ খুশিই ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটের ভক্তরা। কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেট মানেই তো নাটকীয়তা। এবার সেই নাটক জমল শাহিনের বিবৃতিকে কেন্দ্র করে। পাক এই পেসার নাকি ওই বিবৃতি দেনইনি।
বরং তার সঙ্গে কোনো আলাপ না করেই এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে পিসিবি। আর বিষয়টি ভালোভাবে নেননি শাহিন বেশ ক্ষুব্ধই হয়েছেন সদ্য বরখাস্ত হওয়া আফ্রিদি। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, এ ব্যাপারে নাকি পাল্টা বিবৃতি দিতেও উদ্যত হয়েছিলেন এ বাঁহাতি পেসার। তবে জরুরি ভিত্তিতে কথা বলে তাকে থামিয়েছে পিসিবি।
যেভাবে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে শাহিন খুশি নন মোটেও। তাকে বিবৃতি দেওয়ার জন্য আহ্বানও জানায়নি পিসিবি। সবটাই তারা করেছে নিজ থেকেই। স্বাভাবিকভাবেই বেশ ক্ষুব্ধ তরুণ এই পেসার। এমন পরিস্থিতিতে শাহিনকে নিয়ে আজ সোমবার পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা আছে।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন সংস্করণেই পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়েন বাবর। পিসিবির সেসময়ের চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ এমন সিদ্ধান্তে বড় প্রভাবক ছিলেন। এরপরেই শান মাসুদকে টেস্ট এবং শাহিনকে দেওয়া হয় টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব। তার অধীনে নিউজিল্যান্ড সফরে ৫ ম্যাচের একটি সিরিজই খেলেছে পাকিস্তান।