• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রামেক ছাত্রদলের সভাপতি নূর, সম্পাদক রীমন রাজশাহীতে ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো বাংলাদেশ রংপুর বিভাগীয় সমিতির সভাপতি ডা. মতিউল, সম্পাদক সাংবাদিক সাজু রাজশাহীর নিউমার্কেটের আগুনে পোড়া ১২ দোকানীকে রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ ও বাপার সহায়তা রাজশাহীতে ৫ রত্নগর্ভা মাকে ও দুই সংগ্রামী নারীকে সম্মাননা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, দেড় লাখ ছাড়ালো ভরি রাজশাহীতে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছেই, ৫৭ শতাংশই রাজশাহীর তানোরে বিএনপির লিফলেট বিতরণে হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন  তানোরে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণে হামলা এক লাখ মানুষের রোজগারের প্রত্যক্ষ সহযোগী নাবিল গ্রুপ: পার্টনারস্ মিট অনুষ্ঠানে এমডি
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

ভোট শুরু, বাংলায় রক্তপাতহীন নির্বাচনই বড় চ্যালেঞ্জ

রাজশাহী সংবাদ ডেস্ক
সর্বশেষ: মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪

এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ -এই চার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৭টা, চলবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।পশ্চিমবঙ্গের চার লোকসভা আসন মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৬০।

এর মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত দুই আসন জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ আসনে ৯৫০টি স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর ভোট কেন্দ্র রয়েছে। যার জেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয়বাহিনীর সংখ্যা।

এই চার কেন্দ্রে সবমিলিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪০০ আধা সামরিক সশস্ত্র সেনাবাহিনী। যারমধ্যে রয়েছে বিএসএফ, সিআরপিএফসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।

রয়েছে ১০ হাজারের বেশি রাজ্য পুলিশ। বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি তৃতীয় ধাপেও প্রতিটি বুথে রয়েছে ওয়েভ কাস্টিং ব্যবস্থা। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন কর্তারা, অফিসে বসেই লক্ষ্য রাখতে পারবে বুথের পরিস্থিতির উপর।বাংলার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল তৃণমূল এবং বিজেপি। পাশাপাশি এই চার কেন্দ্রে গুরুত্ব পাচ্ছে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস। এছাড়া রয়েছেনে বহু স্বতন্ত্র প্রার্থী। সব মিলিয়ে চার আসনে মোট ৫৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করছেন ৭৪ লাখ ১১ হাজার ৭৫৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২৯ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ জন ও নারী ভোটার ৩৬ লাখ ৬ হাজার ৫৬৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১৫৬ জন।

পশ্চিমবঙ্গের চার আসনেরে পাশাপাশি ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ভারতের গুজরাট (২৫), কর্ণাটক (১৪), মহারাষ্ট্র (১১), উত্তরপ্রদেশ (১০), মধ্যপ্রদেশ (৯), ছত্রিশগড় (৭), বিহার (৫), আসাম (৪), গোয়া (২) ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে দাদরা এবং নগর হাভেলি, দমন এবং ডিউ ২ আসনে। উল্লেখ্য, গুজরাটের মোট ২৬ আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যে সুরাট আসনটি বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় জয় পাচ্ছে বিজেপি। ওই আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি।

সব মিলিয়ে এই পর্বে ১১ কোটির বেশি ভোটর দেশটির ১ হাজার ৩৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করছে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (গান্ধীনগর), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (গুনা), মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান (বিদিশা), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি (ধারওয়াড), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্য (পোড়বন্দর), বিজেপি প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি পল্লবী ডেম্পো (সাউথ গোয়া), উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের স্ত্রী সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী ডিম্পল যাদব (মইনপুরী), মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী দ্বিগবিজয় সিং (রাজগড়) প্রমুখ।

বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে বাংলায় ১৯ এপ্রিল এবং ২৬ এপ্রিল শেষ হয়েছিল প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ভোট। দুই ধাপে যথাক্রমে ভোটপর্ব শেষ হয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিং বায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে। সবমিলিয়ে বাংলার ছয় আসন থেকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছিল এক হাজারের বেশি। তবে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হলেও ভোট হিংসায় একজনেরও প্রান যায়নি। গত ভোটের মতোই তৃতীয় ধাপেও যাতে রক্তপাতহীন ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়, সেটাই এখন লক্ষ্য নির্বাচন কমিশনের। কারণ, এই অঞ্চলগুলো থেকেই সবচেয়ে উত্তেজনা এবং ভোট হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে থাকে।

এবার ভারতের ৫৪৩ আসনে নির্বাচন হবে সাত ধাপে। চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। শুরু হয়েছে ১৯ এপ্রিল। শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা।


আরো খবর