মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল। মাঝপথে কারও শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। কারণ চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে মানবপ্রাচীর গঠন করা হয়।
শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে ফের শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। এ আয়োজনের পরবর্তী অংশে চারুকলার বকুলতলার মঞ্চে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে বাউল গান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন মুখোশ, ঘোড়া, মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখিসহ বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
১৯৮৯ সালে চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের হয়েছিল আনন্দ শোভাযাত্রা, যা দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বাংলাশের মানুষের কাছে।
পরে ১৯৯৬ সালে এর নাম পরির্বতন করে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ রাখা হয়। এরপর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় এ শোভাযাত্রা।