রাজশাহী মহানগরীতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদারকরণে ওয়ার্ড পর্যায়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিক ও সুপারভাইজার সমন্বয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে কামরুজ্জামান জানান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশনায় মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদারকরণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ের নগরীর প্রতিটি ড্রেনে লার্ভিসাইড কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। ড্রেনের পানি প্রবাহ অব্যাহত রাখতে ড্রেন স্লাবে মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এ কাজে সংশ্লিস্টদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। একইসাথে বাড়ির আশে পাশে ঝোপ জঙ্গল পুকুর ও ডোবার কচুরিপানা নিজ উদ্যোগে পরিস্কার পরিচছন্ন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ড্রেনের ভেতরে কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। মশক নিয়ন্ত্রণে কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ কর্তৃক মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে বিশেষ অভিযান ও তদারকির জন্য সম্মানিত কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যবৃন্দ নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডসমূহ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন।
রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন। সভায় ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আব্দুস সোবহান, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মনিটরিং সাজ্জাদ হোসেন, মশক কর্মকর্তা মনিটরিং জুবায়ের হোসেন মুনসহ, পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজার, মশক সুপারভাইজার উপস্থিত ছিলেন।