• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য হলেন সাংবাদিক মঈন উদ্দীন বাড়ির কাছেই মিলছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ  বিভাগীয় কমিশনারের সাথে রাজশাহী প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সিন্ডিকেট ভাঙতে নগরীতে শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি আরএমপি কমিশনারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় ব্র্যাকের কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটন প্রকল্প ‘অতিথি’র যাত্রা শুরু নগর বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন রাজশাহীতে পুকুর দখলের চেষ্টার অভিযোগ, নিরাপত্তার দাবি চাষির রাজশাহীতে কৃষককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান: নগরীতে সুপারির ভেতরে ১৪শ পিস ইয়াবা উদ্ধার
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

মাঠের সমর্থন ব্যালটে টেকেনি নারী প্রার্থীদের

রিপোর্টার নাম:
সর্বশেষ: শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৪
মাঠের সমর্থন ব্যালটে টেকেনি নারী প্রার্থীদের
মাঠের সমর্থন ব্যালটে টেকেনি নারী প্রার্থীদের

রাজশাহীর নির্বাচন পর্যালোচনা

  • অভিজ্ঞতা আর জনসম্পৃক্ততা না থাকার ফলঃ অধ্যাপক একরাম
  • লেগে থাকলে ভবিষ্যতে সাফল্য আসতেও পারেঃ সুজন
  • নারীদের প্রধান বাধা পরিবার ও অর্থঃ মহিলা সমিতি

সাখাওয়াত হোসেন
মাঠের জনসমর্থন ব্যালটে টেকেনি দ্বাদশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রাজশাহী জেলার তিন নারী প্রার্থীর। মিছিল-সমাবেশে জনসমাগম ঘটলেও তার প্রতিফলন ঘটেনি ভোটের হিসেবে। এমনকি নারী প্রার্থী হিসেবে নির্দিষ্ট আসনের নারী ভোটারদেরও আকৃষ্ট করতে পারেনি তারা। ফলে বিজয়ীর একার পাওয়া মোট ভোটের এক দশমাংশের কাছাকাছি ঠেকেছে তিন নারী প্রার্থীর মোট ভোট। এ জন্য রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতা, এলাকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা এবং জনসম্পৃক্ততার পাশপাশি ভোটারদের আস্থাহীনতা মূখ্য কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনীতি
সচেতন নাগরিকেরা।
রাজশাহীর ৬টি আসনে ভোটের মাঠে লড়েছেন ৪২ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে মাত্র ৩ জন ছিলো নারী প্রার্থী। তিনজনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন রাজশাহী-১ আসন থেকে। এদের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পেয়ে ভোট করেছেন। বাকি দুইজন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েও বঞ্চিত হন। পরে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে নামেন। ভোটে অংশ নিয়ে প্রথমেই ধাক্কা খান তারা। রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে আপিল করে একজন এবং আদালতের মাধ্যমে একজন মনোনয়ন ফিরে পান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফলাফলে দেখা গেল, এসব নারী প্রার্থীরা এলাকার নারীদের সমর্থন পেতেও ব্যর্থ হয়েছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, তিন নারী প্রার্থীর মধ্যে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শারমিন আক্তার নিপা (মাহিয়া মাহি) ট্রাক প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ৯ ভোট পান। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ আয়েশা আক্তার জাহান বেলুন প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৭১৮ ভোট। আর ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী নুরুন্নেসা আম প্রতীকে পেয়েছেন ২৯৬ ভোট। তিনজন প্রার্থীই তাদের জামানত
হারিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শারমিন আক্তার নিপা (মাহিয়া মাহি) ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী। রয়েছে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দলীয় পদবি। সব কিছু ছাপিয়ে মাহি নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে নারী ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তোলেন। এলাকার উন্নয়নে ১৭ দফা ইশতেহার নিয়ে নিজের প্রচারণার পাশাপাশি ১৫ বছরের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিভিন্ন কর্মকান্ডের তীব্র সমালোচনায় মুখোর হয়ে ওঠেন।
স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রচারাভিযানে মাহি যখন যে এলাকায় গেছেন সেখানেই উৎসুক জনতা তাকে হরেক আয়োজনে বরন করে নিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় গেছেন সেই এলাকাতেই মানুষ তাকে বরণ করে নিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে পা ধুইয়ে একায় স্বাগতম জানানোর ঘটনা মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচারও করেছে। মিছিল, শ্লোগান কিংবা জনসংযোগে ট্রাক প্রতীকে মাহিকে সঙ্গ দিয়েছেন সাধারণ জনতা।
নির্বাচন পরবর্তী ফেইসবুক লাইভে দেয়া বক্তব্যে দেখা গেছে, ভোটে হেরে গেলেও মনোবল হারাননি মাহি। বলেছেন, “ভোট না পেলেও জনসমর্থন পেয়েছি। জীবনে প্রথমবার নির্বাচনে নেমে সব শ্রেণী পেশার লোকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি। কম ভোট পেলেও মেয়ে হয়ে ভোট করেছি সে জন্য অ্যাপ্রেশিয়েট করা উচিত।”
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ আয়েশা আক্তার জাহান। আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য তালিকায় নাম রয়েছে তার। হলফ নামায় পেশায় নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে পৈত্রিক ঠিকানা থেকে হঠাৎ নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দেন গত মেয়াদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী আয়শা আক্তার। প্রার্থীতা নিয়ে প্রথমেই হোঁচট খান তিনি। সুনির্দিষ্ট কারণে মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকতা। পরে আদালতের নির্দেশে বৈধতা পেলেও বেলুন প্রতীক নিয়ে ভোটের ফসল ঘরে তুলতে পারেননি তিনি।
তার প্রচারাভিযানে অংশ নেওয়া একাধিক ভোটার জানিয়েছেন, অতীতে কোন রকম জনসম্পৃক্তা না থাকায় অভাবনীয় পরাজয় হয়েছে আয়শা আক্তারের। ব্যক্তি জীবনের কোনো অধ্যায়ে ছিল না মাঠের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। এলাকাবাসী যতটুকু জানেন তার সিংহভাগ জুরেই রয়েছে স্বামীর পরিচিতি। তা ছাড়া পৈত্রিক ঠিকানা থেকে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় নাম লেখালেও প্রচারাভিযান চালিয়েছেন প্রতিদিন অন্য এলাকা থেকে এসে। এ বিষয়টিও অনেকে ভালোভাবে নেয়নি বলে জানিয়েছেন গোদাগাড়ীর সচেতন নাগরিকরা। এরপরও এলাকার মেয়ে হিসেবে মিছিল সমাবেশে ভালো জনসমর্থন পেয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ভোটের ব্যালটে টেকেনি কিয়দংশও।
ভোট পরবর্তী সংক্ষিপ্ত টেলিফোন স্বাক্ষাতকারে ২ হাজার ৭১৮ ভোট পাওয়া শাহনেওয়াজ আয়েশা আক্তার জাহান এ প্রতিবেদককে বলেন, “আমি টার্গেট করেছিলাম প্রায় ৯০ হাজার ভোট পাবো। আমার সাথে দলীয় লোকজন ছিল। দলের বাহিরে সাধারণ জনগনও আমার সাথে ছিল। কিন্তু আমি শেষ পর্যন্ত কাঙ্খিত ভোট পাইনি। ফারুক চৌধুরীর ম্যাকানিজমের কাছে হেরে গেছি। ”
একই আসনে অপর নারী নুরুন্নেসা প্রার্থী হয়েছিলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনয়ন নিয়ে। রাজনীতি বা ভোটের কোনো ক্ষেত্রে আতীতের কোন সম্পৃতক্তা না থাকলেও দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েও মাঠের প্রচারণায় ছিলেন না তেমন সক্রিয়। হলফনামায় নিজেকে গৃহিনী ঘোষিত বিধবা এই নারী প্রার্থীর যতসামান্য জনসংযোগে এলাকাবাসীকে কাছে টানতে পারেন নি। তবে প্রতিপক্ষের বাধার কারণে ভোটের তিন দিন আগে থেকে প্রচারণা চালাতে পারেন নি বলে অভিযোগ করেছেন আম প্রতিকে সর্ব সাকুল্যে ২৯৬ ভোটারের সমর্থন পাওয়া নুরুন্নেসা।
এই তিন নারী প্রার্থী এত কম ভোট পাওয়া সম্পর্কে স্থানীয়দের মত, ভোটের রাজনীতিতে কেউ কাউকে ছাড় দেয় না। নারী পুরুষ বলে বিবেচনার চাইতে এখানে বেশি গুরুত্ব পায় আগামী দিনে কে কাকে বেশি কাছে পাবেন। কাকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন সম্ভব এসব ভাবনা বেশি আলোচিত হয়।
গোদাাগাড়ী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বলেন, তানোর-গোদাগাড়ীর সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিন নারী প্রার্থীর দক্ষতা বা সক্ষমতার একটা প্রশ্ন সবার আগে সামনে এসেছে। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, তিন প্রার্থীর সবাই ভোটের রাজনীতিতে এবারই প্রথম। একজন এলাকায় থাকলেও তারও ছিলো না ভোটের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা। বাকি দু’জনই ঢাকার বাসিন্দা। ওই দুজনের কারোই এলাকার জনগণের সাথে ন্যূনতম যোগাযোগ ছিল না কখনো। একজন চিত্রনায়িকা আর একজন স্বামীর রাজনৈতিক পরিচিতি নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ফলে এই তিন জনের কারো প্রতি আস্থা রাখতে পারেন নি ভোটাররা।
তানোরের ভোটার বেসরকারী ব্যাংক কর্মকর্তা সুমাইয়া নাজনিনের মতে, এই তিন নারী প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র দুজন ভোটের মাঠে বেশ তৎপর ছিলেন। প্রচার-প্রচারণায় বেশ সাড়াও পড়েছিল তাদের। কিন্তু তেমন ভোট পাননি কেউই। তবে পুরুষদের সাথে সরাসরি ভোটে নামার সাহস দেখিয়েছেন। ঘাটে ঘাটে বাধা ডিঙ্গিয়ে ব্যালটের লড়াই করেছেন শেষ পর্যন্ত। বহুমাত্রিক না হয়ে দ্বিমুখী বা ত্রিমুখী প্রতিযোগিতা হলে ফলাফল ভিন্ন রকম হতে পারতো বলেও মন্তব্য করেন এই মধ্য বয়সী ব্যাংকার।
তানোরের বাসিন্দা কাইসার আহমেদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের বিষয়টার অনেক কিছুই নির্ভর করে রাজনৈতিকভাবে। এখানে প্রতীক বা দল একটা বড় বিষয়। এখানে যারা বিজয়ী হয়েছেন বা যারা ভালো ভোট পেয়েছেন তাদের সাথে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বা প্রতীক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আর নারী যেসব প্রার্থী ছিলেন তাদের উপরে মূলত সাধারণ মানুষ আস্থা রাখতে পারেননি। আবার তাদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক না থাকাও একটা বড় কারণ।
ভোটের মাঠে নারীদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে রাজশাহী মহিলা পরিষদের সভাপতি কল্পনা রায় বলেন, মূুলত একটি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে হলে সবার আগে মানুষের কাছে তাকে যেতে হবে, সবার সাথে মিশতে হবে। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা পরিবার। এরপর অর্থ। এরপরেই আশে পাশের মানুষ বা দলীয় নেতাকর্মী। নানা কারণে দুই প্রার্থীর কিছুটা পরিচয় থাকলেও একজনের ছিল না কিছুই। নির্বাচনী মাঠে একবারে আনকোরা তিন নারীর কারো ওপর আস্থা রাখতে পারেননি ভোটাররা। পক্ষান্তরে যিনি বিজয়ী হয়েছেন তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার সাথে একাধারে ছিলেন তিন মেয়াদের সংসদ সদস্য। তার ওপর দলীয় প্রতীক নৌকা। সব মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকতে পারেননি তিন নারীসহ অন্য কোনো প্রার্থী।
এবিষয়ে রাজশাহী জেলা সুজনের সভাপতি আহম্মেদ শফিউদ্দিন বলেন, নারী প্রার্থীরা এবার সরাসরি ভোটে এসেছেন এটি বড় পাওয়া। হঠাৎ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে যে ভোট পেয়েছেন তা এক হিসেবে অনেক। এগুলো তাদের অর্জন। এবার না পারলেও লেগে থাকলে আগামীতে সাফল্য আসতেও পারে বলে মনে করেন এই সুজন নেতা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একরাম উল্লাহ বলেন, এসব নারীদের নেতৃত্ব দেয়ার অতীত অভিজ্ঞতা যেমন ছিল না, তেমনি ছিলনা জনসম্পৃক্ততাও। জনগণের আস্থা অর্জনের ব্যর্থতা এবং সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে প্রত্যাশা থেকেও অনেক কম ভোট পেয়েছেন। তার মতে, জনগণ নারী-পুরুষ দেখে না, দেখে নেতৃত্ব ও যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা। ভবিষ্যতে এর ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পারলে তারাও ভালো ফল পাবে।
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১১জন। এই আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৮ জন। নারী ভোটার ছিলেন ২ লাখ ২০ হাজার ৫৯১ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৬২জন। এছাড়া একজন তৃতীয় লিঙ্গেও ভোটার ছিল। এই আসনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৩ জন। এর মধ্যে বৈধ ভোট পড়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ২৯৬। আর বাতিল হয়েছে ৭ হাজার ৪৯৭টি। তিন নারী প্রার্থী পেছেন মাত্র ১২ হাজার ২৩ ভোট।


আরো খবর