ইরসায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা, খাবার-পানি বন্ধ; বন্ধ হয়েছে প্রায় সব বিদ্যুৎ সংযোগও। ফুরিয়ে আসছে জ্বালানি।
হাসপাতালে বাড়ছে মরদেহের সারি। একে একে জড়ো হচ্ছে আহতরা। গাজার প্রধান হাসপাতাল আল সিফা হাসপাতালের অবস্থা এখন সবচেয়ে বেশি সংকটময়।
গাজায় সাহায্যকারী সংস্থার বরাতে বিবিসি বলছে, বিদ্যুৎহীন হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া হচ্ছে জেনোরেটর চালিয়ে। তবে এতেও দেখা দিয়েছে বেশ বিপর্যয়। আর মাত্র চার দিনের জ্বালানি আছে সেখানে। একই সঙ্গে ফুরিয়ে আসছে খাবারও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একমাত্র পাওয়ার প্ল্যান্টটি বন্ধ হওয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে গাজা। পাম্পের জন্য বিদ্যুৎ না থাকায় কিছু রাস্তা আটকে পড়েছে আবর্জনায়।
এ অবস্থায় গাজায় সহায়তা পাঠাতে প্রতিবেশী মিশর ছয় ঘণ্টার মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইরসায়েলের পক্ষে এখনও এ নিয়ে কোনো সাড়া মেলেনি।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজা উপত্যকার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।
২০০৭ সালে হামাস প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি বাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ইসরায়েল এবং মিশর গাজার ওপর বিভিন্ন স্তরের অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।
ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর গাজার শাসক দল হামাসের হামলার পর থেকে গাজা ভূখণ্ডে বৃষ্টির মতো বোমা ছুড়ছে ইসরায়েল, যে হামলায় ২০ লাখের বেশি বাসিন্দার উপত্যকাটিতে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে বেসামরিক লোকজন।
হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা এক হাজার ৩০০ ছাড়িয়য়েছে। আর গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা এখন এক হাজার ২০০-এর বেশি।